দেশনিউজ

ভারতে করোনায় আক্রান্ত একই হাসপাতালের ৩ চিকিৎসক সহ ২৬ জন নার্স! অসন্তোষ প্রকাশ প্রশাসনের

Advertisement
Advertisement

প্রীতম দাস : নভেল করোনাভাইরাস জেড়ে গোটা পৃথিবী এখন থরহরি কম্পমান। সারা পৃথিবীতে এখন কার্যত আতঙ্কের আবহাওয়া বিদ্যমান কারণ করনা ভাইরাসের এখনো পর্যন্ত নির্দিষ্ট কোন ওষুধ আবিষ্কৃত হয়নি। আমাদের দেশ ভারত বর্ষ আক্রান্তের সংখ্যা তীব্র গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তামিলনাড়ু কেরল মহারাষ্ট্র উত্তরপ্রদেশে করোনা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। মহারাষ্ট্র তে 700 জনের অধিক মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে সূত্রে খবর। এবার বাণিজ্য নগরী মুম্বাই শহর থেকে এমন একটি খবর শিরোনামে উঠে এসেছে যা রীতিমতো রোমহর্ষক। মুম্বাইয়ের ওখর্ড হাসপাতালে তিনজন চিকিৎসকসহ 26 জন নার্স ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

হাসপাতালের এতজন চিকিৎসকসহ নার্স এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার অসন্তোষ প্রকাশ করেছে মুম্বাই প্রশাসন। এই ঘটনার পর স্বাভাবিকভাবেই হাসপাতালে দায়িত্বজ্ঞানহীনতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। দেশের আপৎকালীন এই পরিস্থিতিতে ডাক্তারসহ নার্সদের এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া যথেষ্ট উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। অতিরিক্ত পুর কমিশনার সুরেশ কাকানি বলেন , এটা দুর্ভাগ্যজনক যে স্বাস্থ্য পরিষেবার চৌহদ্দির মধ্যে এত সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। ওদের আরো সাবধান হওয়া উচিত ছিল। কিভাবে সংক্রমণ ছড়াল তা নিয়ে একজন স্বাস্থ্য আধিকারিক এর নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে হাসপাতালের অন্যান্য চিকিৎসক নার্স স্বাস্থ্যকর্মী ও অন্যান্য কর্মী মিলিয়ে 270 জন এর নমুনা পাঠানো হয়েছে পরীক্ষার জন্য।

পুলিশ সূত্রে খবর , গত 27 মার্চ 70 বছরের এক করো না আক্রান্ত বৃদ্ধ ওই হাসপাতালে ভর্তি হন। তার তিন দুয়েকের মধ্যেই ওই বৃদ্ধের দেখভালের দায়িত্বে থাকা দুই নার্সের নভেল করোনাভাইরাস পজিটিভ রিপোর্ট এসেছিল। অভিযোগ তারপরেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যথাযথ সতর্কতার নেয়নি। আক্রান্ত দুই নার্সের সংস্পর্শে আসা তার রুমমেটদের পর্যন্ত নোবেল করোনাভাইরাস পরীক্ষা বা কোয়ারান্টিনে ব্যবস্থা করা হয়নি। আক্রান্ত দুই নার্সের ব্যক্তিগত সুরক্ষা পোশাকও ছিল না বলে অভিযোগ। এমনকি নোবেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত এমন রিপোর্ট আসার পরেও তাদেরকে ডিউটি থেকে সরানো হয়নি বলে অভিযোগ তুলেছে ইউ এন এ বা ইউনাইটেড নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এই ব্যাপারে কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। হাসপাতালের এক মুখপাত্র জানান জরুরী ও আউট ডোর পরিষেবা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

Web Desk

We belong to that group who are addicted to journalism. Behind us, there is no big business organization to support us. Our pens do not flow under any other’s commands.

Related Articles