দেবপ্রিয়া সরকার : গত বছর ডিসেম্বর মাসে চীনের উহান শহর থেকে যে মারণ ভাইরাস করোনা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে তার উৎস কী সেটা জানার চেষ্টা করে চলেছে বিশ্বের বড় বড় চিকিৎসক বিজ্ঞানীরা। সারা বিশ্ব যখন করোনা মহামারীতে তটস্থ, ঠিক সেই সময় সামনে এল ইন্ডিয়ান মেডিকেল রিসার্চের একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য। অনেক আগে আশঙ্কা করা হয়েছিল এই ভাইরাস বাদুড়ের থেকে ছড়িয়েছে। সেই সন্দেহই সত্যি হলো। ICMR-এর গবেষকরা দেশের ৪ রাজ্যে দুটি প্রজাতির বাদুড়ের মধ্যে করোনভাইরাস এর হদিশ পেলেন। এর আগে বাদুড়ের মাধ্যমে অনেক ভাইরাস ছড়িয়েছে। কয়েক বছর আগে যে নিপা ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছিল তারও উৎসস্থল ছিল এ বাদুড়, যার কারণ ছিল টেরোপাস মেডিয়াস বাদুড়। এরপরে করোনা ভাইরাস ছড়ানোর কারণে হিসেবে বাদুড়কে মনে করা হয়েছিল।
গত কয়েক দশক ধরে বাদুড়কে বহু ভাইরাসের বাহক বলে মনে করা হয়ে থাকে। গত ১৩ ই এপ্রিল ICMR প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে গবেষকরা বলেছেন, “বাদুড়ে করোনাভাইরাস রয়েছে কিনা তা জানার জন্য ২০১৮-১৯ সালে সংগৃহীত মেডিয়াস ও রাউসটাস প্রজাতির বাদুড়ের লালারস নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও গবেষণা চালান তাঁরা। সেই পরীক্ষায় বাদুড়ের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গিয়েছে। কেরল, হিমাচল, তামিলনাড়ু ও পুদুচেরি- এই ৪ জায়গায় বাদুড়ের উপর পরীক্ষা চালিয়ে রিপোর্ট পজেটিভ আসে।” ভারতের প্রায় ১১৭ প্রজাতির বাদুড় রয়েছে।
এই রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পরই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সারা বিশ্ব জুড়ে করোনা চিকিৎসার ওষুধ আবিষ্কারের চেষ্টা চলছে। তবে এখন পর্যন্ত ভারতই এক্ষেত্রে সাফল্য দেখিয়েছে। সঠিক টিকা আবিষ্কার না হল ম্যালেরিয়ার ওষুধ হাইড্রক্সিক্লোরোক্যুইন দিয়ে করোনা রোগী সারিয়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে ভারত। বর্তমানে এই ঔষুধ করোনা আক্রান্ত দেশগুলি কে রপ্তানি করছে ভারত।