25 শে মে বর্ণবিদ্বেষী পুলিশের হাতে প্রাণ দিতে হয়েছে জর্জ ফ্লয়েডকে। তারপর গত দুই সপ্তাহে আমেরিকা তো বটেই গোটা বিশ্বজুড়ে বর্ণবাদের বিরুদ্ধে, অবিচারের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু হয়েছে। শ্বেতাঙ্গ পুলিশ অফিসার দেড়েকের হাঁটুর চাপে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যায় নিরস্ত কৃষ্ণাঙ্গ যুবক ফ্লয়েড। তার মৃত্যুতে কাঁদছে গোটা বিশ্ববাসী।
টেক্সাসের হিউস্টনে, জর্জের ছোটবেলার স্মৃতিবিজড়িত শহরে তার শেষকৃত্যের সমবেত হয়েছিলেন শয়ে শয়ে মানুষ। প্রত্যেকে চোখে হারানো শোকের চেয়েও বেশি ছিল ন্যায়বিচার ছিনিয়ে নেওয়ার প্রত্যয়। হিউস্টন থেকে জর্জের দেহ নিয়ে যাওয়া হয় সমাধি ক্ষেত্রে। প্রায় চার ঘণ্টার এই শেষকৃত্যের অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হয় আমেরিকার সবকটি চ্যানেলে। কান পাতলেই শোনা যায় একজন সাধারন ভাই বাবা দাদা মেন্টর থেকে এক প্রতিবাদের মুখ ওঠা জর্জের গল্প।
আই কান্ট ব্রিথ” শেষ মুহূর্তে শ্বেতাঙ্গ পুলিশ অফিসারের হাঁটুর চাপে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে আসা জর্জের শেষ কথাতেও ব্লাক লাইভস মাটার এর স্লোগান উঠেছে। সেই স্লোগানে সূত্র ধরেই তার ভাইজি ব্রুকলিন উইলিয়ামসের কথায় “আমি শ্বাস নিতে পারছি, আর যতক্ষণ পারব ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই জারি থাকবে। এটা খুন নয় বিদ্বেষমূলক অপরাধ।”
2014 সালে নিউ ইয়র্কে যে এরিক গার্নার পুলিশি হেফাজতের প্রাণ হারিয়েছিলেন তার মা এসেছিলেন জর্জের শেষকৃত্যে। ছিলেন গত ফেব্রুয়ারীতে জগিং করতে গিয়ে জর্জিয়ায় খুন হওয়া আহমেদ আরবেরির পরিবার। কৃষ্ণাঙ্গদের উপর হয়েছিল এইসব অত্যাচারের প্রতিবাদে মুখ হয়ে উঠেছিলেন জর্জ। তবে এবার এই প্রতিবাদের স্বর আরো জোরালো। লন্ডনে চলছে বিক্ষোভ। চলছে ক্রীতদাস ব্যবসায়ী রবার্ট মিলিকানের মূর্তি, অক্সফোর্ড সেসিল রোডসের মূর্তি সরানোর তোড়জোড়। এবার সত্যি যেন রঙবদলের পালা।