দেশনিউজ

পাবজি খেলে বাবার ১৬ লাখ টাকা ধ্বংস, এখন গ্যারেজে কাজ করছে বছর ১৭’র ওই কিশোর

Advertisement
Advertisement

ড্রাগের নেশা সর্বনাশা তবে ভিডিও গেমের নেশাও খুব একটা ব্যতিক্রম নয়। করোনাভাইরাস এর ভয়ংকর হামলাও দমাতে পারেনি পাবজি খেলার নেশায় পাগলদের। বরং এই সময় পাবজি খেলার প্রবণতা যেন আরও বেড়ে গেছে। আসলে এই খেলা যেন একটা নেশার মতো যাকে একবার এই গেমের নেশায় মত্ত হয়েছে তারা এর জন্য বোধহয় যেকোনো কিছু করতে পিছুপা হয়না। এই যেমন পাবজি গেমের নেশায় বুঁদ পাঞ্জাবের এক 17 বছরের ছেলে বাবার ব্যাংক একাউন্ট থেকে 16 লক্ষ টাকা খরচ করতে দুবার ভাবেনি।

পাবজির বিভিন্ন পেড অ্যাপ্লিকেশন কিনতে গিয়ে এবং গেমস আপগ্রেড করতে গিয়ে ওই বিপুল অর্থ রীতিমতো উড়িয়ে দেয় সে। 17 বছরের ছেলের এমন কান্ড জানার পর তার বাবা-মাও অবাক। তাদের দাবি শুরু থেকে কিছুই বুঝতে পারেননি তারা। ছেলের উচ্চ শিক্ষা ও ভবিষ্যতের চিকিৎসার জন্য ওই টাকা জমিয়েছিলেন কিন্তু পুরো টাকাটাই জলে চলে গেল।

ট্রিবিউন এর এক প্রতিবেদন জানাচ্ছে লক ডাউন এর সময় অনলাইনে পড়াশোনার জন্য স্মার্ট ফোন ব্যবহার করছিল ওই ছেলেটি। আর তখনই অনলাইনে গেম এর জন্য বাবার একাউন্ট থেকে পেমেন্ট করতে থাকে সে। ওই স্মার্টফোনে তার বাবার ব্যাংকের বিবরণ ও কার্ডের বিশদ তথ্য ছিল যার ফলে কাজকে অনেক সহজ হয়ে যায়। টানা একমাস ধরে ভার্চুয়াল গোলাবারুদ ও বন্ধুক কিনত সে, ব্যাঙ্ক থেকে ফোনে আসা মেসেজ ডিলিট করে ফেলত , যার ফলে তার বাবা টের পাননি। পরবর্তীতে তার বাবা ব্যাংক স্টেটমেন্ট পাওয়ার পর আঁতকে ওঠেন।

পুলিশ এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেননি কারণ এই বিষয়ে গেম প্রস্তুতকারককে দোষ দেওয়া যাবে না। কারণ ছেলেটি যা করেছে তা ইচ্ছাকৃতভাবেই। ছেলের এমন কান্ডের কথা জানতে পেরে রেগে আগুন হয়েছেন এবং তাকে গ্যারেজের কাজে লাগিয়ে দিয়েছেন। রক্ত জল করা উপার্জন এভাবে তার ছেলে উড়িয়ে দেবে তা ভাবতেও পারেননি বাবা।

Sangbad Safar Desk

We belong to that group who are addicted to journalism. Behind us, there is no big business organization to support us. Our pens do not flow under any other’s commands.

Related Articles