দেশনিউজ

চীনের দাদাগিরি শেষ, উচিৎ শিক্ষা দিতে প্রস্তুত ভারত

Advertisement
Advertisement

চীনের কোন দাদাগিরি বরদাস্ত করবো না, এমনটাই বার্তা দিল ভারত। এর জন্য চীন সীমান্ত বরাবর উত্তরাখণ্ডে তৈরি হচ্ছে নতুন টানেল। কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। নয়াদিল্লি লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল ঘেঁষে কাজ শুরু করেছে। স্ট্র্যাটেজিক টানেল তৈরির এই কাজ শুরু করে কড়া বার্তা দেওয়া গেছে বলে মনে করেছে নয়াদিল্লি। এর ফলে এই টানেল দিয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীর আরও দ্রুত সীমান্তে পৌঁছাতে পারবে বলে জানা গিয়েছে। গত মঙ্গলবার বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন জানিয়েছে কূটনৈতিক ক্ষেত্রে এই কাজ করাটা একটা বড়সড় সাফল্য।

শুধু সেনাবাহিনীই নয়, সাধারণ মানুষও ব্যবহার করতে পারবেন এই টানেল। জানা গিয়েছে এই নতুন টানেলটি মূলত চাম্বা টানেলের অতিরিক্ত অংশ, যা সীমান্তে সেনাবাহিনীর কনভয় দ্রুত পৌঁছে দিতে সাহায্য করবে। আগামী অক্টোবর মাসে এই টানেল তৈরীর কাজ শেষ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই টানেলটি ১২ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প। এই টানেলটি চারধাম প্রকল্পের অন্তর্গত। অর্থাৎ চারটি ধাম এর মধ্যে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ যোগসুত্র স্থাপন করবে। যথা- যমুনোত্রি-গঙ্গোত্রি-কেদারনাথ ও বদ্রীনাথ। ৮৮৯ কিমি লম্বা জাতীয় সড়কের ওপর বানানো হচ্ছে এই টানেল।

এই টানেলটি ব্যবহার করে সেনারা খুব দ্রুত পৌঁছে যেতে পারবে নেলং ভ্যালির চিনা সীমান্তের ভারতীয় প্রান্তে। এটি ভাইরংঘাঁটি হয়ে নেলং ভ্যালি যাওয়ার রাস্তা। এই চ্যানেলটি তৈরি করার শুরুতে জমি অধিগ্রহণ এবং আবহাওয়া ও জলের একটা বড় সমস্যা তৈরি হয়েছিল। যদিও সেই সমস্যা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়েছে। গত জানুয়ারি মাসে এই টানেলটি তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার কারণে এতদিন বন্ধ ছিলো নির্মাণ কাজ। গত কয়েকদিন ধরে চলছে ভারত-চিন সংঘাত।

বৃহস্পতিবার বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, কূটনৈতিক স্তরে দিল্লি ও বেজিংয়ের মধ্যে মধ্যে এই নিয়ে কথাবার্তা চলছে। তিনি বলেন সবকিছু শান্তিপূর্ণভাবে মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা চলছে। সীমান্তে শান্তি বজায় রাখতে দুই দেশের মধ্যে অনেক প্রোটোকল রয়েছে বলেও জানান তিনি। এছাড়া সমস্যা সমাধানের জন্য দুই দেশের মধ্যে অনেক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল বলে‌ তিনি উল্লেখ করেন। সমস্যা সমাধানের জন্য ভারতীয় সেনাবাহিনী যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। এর পাশাপাশি তারা প্রটোকল মেনে ভারতকে রক্ষা করার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করছে।

Web Desk

We belong to that group who are addicted to journalism. Behind us, there is no big business organization to support us. Our pens do not flow under any other’s commands.

Related Articles