করোনা চিকিৎসায় বাজিমাত করলো যক্ষার ভ্যাকসিন, অভূতপূর্ব ফল পেলো গবেষকরা
বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস মোকাবেলায় উন্নত বিশ্ব যখন হিমশিম খাচ্ছে তখন একদল গবেষক জানিয়েছিলেন যক্ষার প্রতিশেধকে এই সুফল মিলতে পারে। সম্প্রতি জানা যাচ্ছে হায়দ্রাবাদের ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থা ভারত বায়োটেকের তৈরি COVAXIN, আহমেদাবাদের ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থা জাইডাস ক্যাডিলার zycov-D এই দু’টি করোনা প্রতিষেধকের হিউম্যান ট্রায়াল শুরু হতে চলেছে।
অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীদের তৈরি করোনা প্রতিষেধকের চূড়ান্ত পর্যায় ট্রায়াল চলছে। কিন্তু 2021 সালের আগে কোনো প্রতিষেধকই হাতে পাওয়া যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে এগুলির উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত সংস্থাগুলো। সম্প্রতি মার্কিন বিজ্ঞান বিষয়ক পত্রিকা প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্স এর প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন যে যক্ষার প্রতিষেধক প্রয়োগ করে করোনায় মৃত্যুর হার অনেকটাই কমানো সম্ভব হয়েছে। এই গবেষণা সম্পর্কে গবেষক দলের প্রধান ভার্জিনিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের লুইস এস্কোবার জানান, এই আশঙ্কাজনক করোনা রোগীদের উপর যক্ষার প্রতিশেধক প্রয়োগ করে মৃত্যুর হার 10.4 শতাংশ পর্যন্ত কমে গেছে।
ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালে ইমিউনোবায়োলজি বিভাগের ডিরেকটর ডক্টর ডেনিস ফস্টম্যান জানান বিসিজি প্রতিষেধকের প্রয়োগ শরীরের সহজাত প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে যাদের এই বিসিজি প্রতিষেধক দেওয়া হয়েছে তাদের শরীর যেকোনো সংক্রামক রোগের ক্ষেত্রে দ্রুত প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। সম্প্রতি করোনাভাইরাস মৃত্যুর হার কমানোর ক্ষেত্রেও এই বিসিজি প্রতিষেধকের প্রয়োগে ভালো ফল লক্ষ্য করা গেছে। তবে এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের প্রয়োজন।