যতই দিন যাচ্ছে সোনার দাম ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। আকাশছোঁয়া সোনার দাম এর জন্য মধ্যবিত্তদের সোনার দোকানে যেতেই একপ্রকার ভীতি ধরে গেছে। তাই তারা ইচ্ছে থাকলেও সোনার জিনিস কিনে নিজেদের ইচ্ছেপূরণ করতে ব্যর্থ। সোনার দাম দিন দিন বাড়ার কারণ হল, ভারতে প্রয়োজনীয় সোনা দেশ থেকে জোগান দিতে না পারায় বেশিরভাগ সোনা বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। যার ফলে বিশ্ব বাজারে দামের পরিবর্তনের সাথে বদলে যায় ঘরোয়া বাজারে সোনার দাম। এছাড়া সোনার দাম বৃদ্ধির আর একটি কারণ কেন্দ্রীয় সরকারের অতিরিক্ত আমদানি শুল্ক।
সপ্তাহের শুরুতেই ফের সোনার দাম ঊর্ধ্বমুখী। Mcx গোল্ড ফিচার্স ০.৩৫% বৃদ্ধির কারণে প্রতি দশ গ্রাম সোনার দাম যাচ্ছে ৪৯ হাজার ৩৫ টাকা। গতসপ্তাহে প্রতি ১০ গ্রামে এই দাম উঠেছিল ৪৯ হাজার ৩৪৮ টাকা। এদিন গোল্ড ফিচার্স ০.১% বৃদ্ধির ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম যাচ্ছে ১,৮০০.৭১ ডলার/ আউন্স।
গোটা বিশ্বে করোনা সংকটের সময় সোনায় বিনিয়োগের প্রবণতা প্রতিদিনই ক্রমশ বাড়ছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞমহলের একাংশের ধারণা, লগ্নিতে ভাটা পড়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে যদি সোনার দাম ১ হাজার ৭২০ ডলারের নিচে নামে। এ দিন সূচকে ১.২৪% বাড়ার ফলে প্রতি কেজি রুপোর দাম যাচ্ছে ৫২ হাজার টাকা যাচ্ছে। এছাড়া আন্তর্জাতিক সূচকে ০.৫% বাড়ার ফলে রুপোর দাম যাচ্ছে ১৮.৭৫ ডলার/ আউন্স।
সম্প্রতি তথ্য ঘেঁটে জানা গিয়েছে, এই বছরেই গত ৬ মাসে ভারতে গোল্ড ইটিএফ ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকার অধিক বিনিয়োগ করেছে। অ্যামফি অর্থাৎ অ্যাসোসিয়েশন অফ মিউচুয়াল ফান্ডস যে তথ্য প্রকাশ করেছে সেখান থেকে জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে জুন মাসের মধ্যে লগ্নিকারীরা ১৬০ কোটি ইটিএফ থেকে তুলে নিয়েছিলেন।