টলিউডের বিতর্কিত অভিনেত্রীদের মধ্যে একজন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। মাঝেমধ্যেই বিস্ফোরক মন্তব্য করে শিরোনামে উঠে আসেন অভিনেত্রী। দেখতে দেখতে চল্লিশটা বসন্ত পেরিয়ে ফেললেন স্বস্তিকা। টলিউডের হার্টথ্রব স্বস্তিকার জন্মদিন নিয়ে যে ভক্তদের উত্তেজনা তুঙ্গে থাকে সবসময়। চল্লিশের ঘরে পা দিলেই অনেকে ভাবেন বয়স বোধয় অনেকটা বেড়ে গেলো। সংখ্যার হিসেবে বয়স বাড়লেও, মনের দিক থেকে আজও বয়স বাড়েনি স্বস্তিকার। তবে, অন্যদিকে নিজের জন্মদিনে এক গোপন কথা ফাঁস করলেন স্বস্তিকা।
হইচই ওয়েব সিরিজে সুদীপ্ত রায়ের ‘তাসের ঘর’ ফের বোল্ড লুকে দেখা মিলবে স্বস্তিকার। আগের ছবি থেকে বেশি নাকি কম জন্মদিনে সেই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে অভিনেত্রী বলেন, ‘তাসের ঘর’ আরও বেশি বোল্ড, সাহসী। ওখানে আমি একা একটা ছবি টেনে নিয়ে গিয়েছি। ক্যামেরার সঙ্গে সারাক্ষণ কথা বলতে হয়েছে, কারণ সব আমার ঘাড়েই ছিল। বিষয়টাও সাহসী, এটা বেশি সাহসিকতার না ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করা। সত্যিই খুব কঠিন জার্নিটা। আসলে এখনও মানুষ সাহস আর সেক্সকে গুলিয়ে ফেলেন। একটা চুমু খেলেই সাংঘাতিক সাহসী। ‘চরিত্রহীন’-র সঙ্গে যেহেতু একটা শরীরী গন্ধ আছে চিত্রনাট্যের খাতিরে ফলে এ কথাই ভাববে, বলবে’।
চল্লিশোর্ধ্ব স্বস্তিকার অভিনয় জগতের পরবর্তী পদক্ষেপ কি? আস্তে আস্তে ‘ সুজাতা ‘ ‘ মোহ মায়ার ‘ মতো চরিত্রের দিকে ঝুঁকবেন নাকি ? এই প্রসঙ্গে স্বস্তিকা বলেন, ‘কিছুতেই এক রকমের চরিত্র করব না। যত ভাঙতে পারব নিজেকে, যত শেড থাকবে, যত স্তর থাকবে, সেই চরিত্রেই অভিনয় করে যাব’। চরিত্রহীন ৩-এ অনুভূতিপ্রবণ রাবেয়ার ভূমিকায় দেখা যাবে স্বস্তিকাকে। সেই রাবেয়া চরিত্র নিয়ে চিন্তায় ছিলেন অভিনেত্রী এই প্রশ্ন করা হলে স্বস্তিকা বলেন, ‘কোনও বিষয় নিয়ে আমি টেনশন করি না। সেটা চরিত্র বা অভিনয়। সরাসরি ক্যামেরার মুখোমুখি হই। ৫ মিনিট আগে অবধি জানি না কী অভিনয় করব। স্বতঃস্ফূর্ত ক্যামেরার সামনে ভাবে যেটা আসে সেটাই করি।
আগে থেকেই সাবধান করি সহ অভিনেতাদের। বলি চেঁচিয়ে উঠলে ভয় পেয়ে যেও না শুধু তালে তাল মিলিয়ে যেও। এই প্রথম সৌরভ দাস স্বস্তিকার বিপরীতে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে। সেই প্রসঙ্গে স্বস্তিকা বলেন, ‘সৌরভ ভীষণ পরিশ্রমী, আন্তরিক কোনও দৃশ্যের আগে কোনও সাজেশন দিলে সেটা পরে মনে রেখে কাজে লাগিয়েছে।সৌরভ মনে করতে দেয়নি এটা ওর সাথে আমার প্রথম কাজ। সৌরভ ওর সেরাটা দিতে পেরেছে বলেই আমি প্রাণবন্ত। পাশাপশি দেবালয় ভট্টাচার্য আমার ভীষণ পছন্দের একজন পরিচালক। এর আগে টিম ‘চরিত্রহীন’-এর সঙ্গে কাজ করিনি। তবে, এই সিরিজের একটা আলাদা ফ্যান বেস আছে। সেটারও একটা লোভ’।
জীবনের ৪০ টা বছর পেরিয়ে গেল এখান থেকে কি শিখলেন স্বস্তিকা এই প্রশ্ন করা হলে অভিনেত্রী বলেন, ‘১২ ডিসেম্বরের রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত এই ভেবেই আনন্দে কাটিয়ে দিচ্ছিলাম, আমার এখনও ৩৯। নিজেরই কেমন অবাক লাগছে যতবার নিজের বয়স মনে পড়ছে। তবে, এত গুলো বছরে বেশি করে নিজেকে ভালবাসতে প্যাম্পার করতে নিজের প্রেমে পড়তে আরও অনেক অ-নে-ক কাজ করতে’। তবে, যদি মা থাকতেন ১৩ ডিসেম্বরের এক সপ্তাহ আগে থেকে মা বলতে শুরু করতেন, ভেবলি তোর জন্মদিন আসছে। ভালমন্দ রান্নাও করতেন। আমি কিন্ত একেবারেই রান্না পারি না। বাবা থাকলেও ছেলেমানুষের মতো হইহই করতেন’।