বিনোদন

নীল-তৃণার বিয়েতে বাঙালিয়ানার ছোঁয়া, আসরে উপস্থিত হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা, মুহূর্তে ভাইরাল ভিডিও

Advertisement
Advertisement

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে উপস্থিত হলেন প্রিয় ধারাবাহিক ‘খড়কুটো’-র মুখ্যচরিত্র গুনগুনের বিয়েতে বর-কনেকে আশীর্বাদ করতে। কথা রাখলেন দিদি। তৃণা সাহা আর নীল ভট্টাচার্যের বিয়ের আসর বসেছে তপসিয়ার অর্কিড গার্ডেনে। মুখ্যমন্ত্রী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সেখানেই এলেন। ধারাবাহিকের গুনগুন ছুটে এসেছিল বরকে দেখতে। এ বারে তৃণা ছুটে এলেন দিদিকে দেখতে। মুখে আনন্দ ফুটে উঠেছে দিদির পছন্দের মেগা ‘খড়কুটো’-র গুনগুনের। অনুষ্ঠানের জৌলুস যেন দ্বিগুণ হয়ে গেল মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে। লাল বেনারসি আর সোনার গয়নার ঝলমলে সাজে দিদির সঙ্গে গল্পে মাতলেন তৃণা। মুখ্যমন্ত্রীকে ছবি তুলতেও দেখা গেল বিয়েবাড়িতে উপস্থিত অতিথিদের সঙ্গে।

এর কিছু আগেই ব্যান্ড বাজিয়ে, ‘বড়লোকের বিটি লো’, ‘মেরি ইয়ার কি শাদি হ্যায়’র মতো গানের সঙ্গে নাচতে নাচতে, হুড খোলা গাড়িতে চেপে বর নীল অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছেছেন। গলায় ফুলের মালা, ঝলমলে কাজ করা লাল পাঞ্জাবি তার গায়ে। তিনি উঠে দাঁড়িয়ে নাচলেন গানের সঙ্গে। বরযাত্রীর হই হই নাচ-গান চলছে পাশে। সাথে উড়ছে টাকাও। অন্যদিকে কন্যাপক্ষ অপেক্ষা গেটের সামনে। হই হই করে বরকে বরণ করাও সম্পূর্ণ হলো। জ্বলল আতসবাজি। ‘কৃষ্ণকলি’ ধারাবাহিকে তাঁর ‘দাদা’ অশোক সেনগুপ্ত নীলের পাশেই ছিলেন গোটা সময়টা।

তাঁদের বিয়ে হবে নৌকায় ভাসতে ভাসতে। অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছতেই দুজনে উঠলেন সেই নৌকায়। তার পরেই প্রস্তুতি রেজিস্ট্রির। হঠাৎই বর চিৎকার করে উঠলেন ‘না, না!’ বলে। হাত কাঁপল তাঁর নাটকীয় ভঙ্গিতে, যেন নীলের খুবই ভয় বিয়ে করতে। আবার কিছুক্ষণের মধ্যেই দেখা গেল অন্য দৃশ্য। পাশাপাশি দুটি সিংহাসনের মতো চেয়ারে বসেছেন নীল আর তৃণা। তবে তাঁদের একে অপরের মুখ দেখতে দেওয়া হচ্ছে না সামাজিক মতে বিয়ের আগে। মাঝে পরিজনেরা দাঁড়িয়ে আছেন কালো কাপড় ধরে। মুখ বাড়িয়ে তার ওপার থেকে তৃণাকে ‘আই লাভ ইউ’ বলতে দেখা গেল নীলকে।

তৃণা আগেই জানিয়েছিলেন, লাল বেনারসি ছাড়া বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন না বলে। বলেছিলেন গুনগুনের মতো লেহেঙ্গা নয়, বরের গলায় মালা দিতে চান একদম সাবেক বাঙালি সাজে। সকলকে জানিয়ে দিয়েছিলেন বিশেষ দিনে নীলকেও ধুতি-পাঞ্জাবিতে দেখা যাবে বলে। বলেছিলেন, “আমি এবং নীল যেহেতু মনে প্রাণে বাঙালি, তাই বিয়ের দিন পুরোপুরি বাঙালি থিম রাখছি আমরা। সাজগোজ, খাওয়াদাওয়াও থাকবে সেই থিম মাথায় রেখে।” লাল বেনারসি, শঙ্খধ্বনি, বিসমিল্লার সানাইয়ের সুরের মাঝে ষোলোআনা বাঙালি ভোজ পাতে উঠবে অতিথিদের। এ দিনের আয়োজনে ঠিক তেমনটাই দেখা গেল।

Related Articles