বলিউডে একের পর এক ধাক্কা আর মেনে নেওয়া যাচ্ছেনা। ইরফান খান, ঋষি কাপুর, ওয়াজিদ খান এবং গত ১৪ ই জুন সুশান্ত সিং এর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ গোটা বলিউড। তাদের শোকের মায়া কাটতে না কাটতেই ফের মৃত্যুর খবর বলিউডে। বৃহস্পতিবার রাত দুটো নাগাদ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন বলিউডের বিখ্যাত ডান্স কোরিওগ্রাফার সরোজ খান। শোকের ছায়া গোটা বলিউডে। ২০২০ সালে একের পর এক ধাক্কা যেন আর নেওয়া যাচ্ছেনা, সেইজন্যই তো নেটিজেনরা বলছেন বছরটি দুই হাজার বিশ নয়, দুই হাজার বিষ।
সরোজ খান শ্বাসকষ্ট নিয়ে বান্দ্রার গুরুনানক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তার শ্বাসকষ্টের অসুবিধা দেখে করোনায় আক্রান্ত ভাবা হয়েছিল। পরে করোনা টেস্টে রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। তিনি কিছুটা সুস্থও হয়েছিলেন বলে খবর মিলেছে। হটাৎ গতকাল রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন ৭১ বছর বয়সী সরোজ খান।
তার অসাধারণ নাচের স্টেপ আজও সমানভাবে জনপ্রিয় বলিউড এর পাশাপাশি সাধারণ মানুষের কাছে। তিনি কোরিওগ্রাফার হিসেবে কাজ শুরু করেন ১৯৭৪ সালে গীতা মেরা নাম ছবি দিয়ে। ‘ধক ধক’-এর ওই আবেদন, ‘হাওয়া হাওয়াই’য়ের ভঙ্গিমা, তার কোরিওগ্রাফির অসাধারণ উদাহরণ। তার নাচের কায়দায় নৃত্য করে বলিউডের অনেক তারকা উঠে এসেছিলেন। মিস্টার ইন্ডিয়া, চাঁদনী, তেজাব, দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে, হাম দিল দে চুকে সনম, দেবদাস এর মত ছবিতে সরোজ খানের অনবদ্য অবদানের জন্যই এই ছবিগুলোর নাচের দৃশ্য এখনও মানুষের কাছে উজ্জ্বল।