ভয়াবহ বিপর্যয়ের সম্ভাবনা, ঘণ্টায় ২৪০ কিমি গতি নিয়ে আছড়ে পড়েছে বিধ্বংসী ঝড় ‘লরা’,
আবহাওয়া দফতরের তরফ থেকে বলা হয়েছে, এই ঝড়ের গতিবেগ ঘন্টায় ২৪০ কিলোমিটার। এর ফলে তীব্র ঝড় ও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে ওই এলাকাতে।
১৬৪ বছরের পর সবচেয়ে বড় হ্যারিকেনের সম্মুখীন আমেরিকার লিউসিয়ানা উপকূল। এই উপকূলেই আছড়ে পড়েছে ভয়ঙ্কর হ্যারিকেন লরা। লিউসিয়ানার ক্যামেরন জেলায় বৃহস্পতিবার সকাল ৫ টায় এই ঝড় আছড়ে পড়ে। মার্কিন উপকূলে এমন শক্তিশালী ঝড় আগে কবে দেখেছেন বলে কেউ মনে করতে পারছেন না। আবহাওয়া দফতরের তরফ থেকে বলা হয়েছে, এই ঝড়ের গতিবেগ ঘন্টায় ২৪০ কিলোমিটার। এর ফলে তীব্র ঝড় ও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে ওই এলাকাতে। এই ঝড়টিকে ক্যাটাগরি ফোর হ্যারিকেন হিসাবে উল্লেখ করেছে আবহাওয়া দফতর
প্রায় এত গতিবেগ সম্পন্ন শেষ মারণ হ্যারিকেন আছড়ে পড়ে আমেরিকায় ২০০৫ সালে। ওই হ্যারিকেনের নাম ছিল ক্যাটরিনা। সেই ঝড়ে আমেরিকায় কম করে ১৮০০ মানুষের মৃত্যু হয়। বেশি কিছু এলাকায় বন্যাও হয়ে যায়। তবে এই লরার গতিবেগ ওই ঝড়ের থেকে অনেক বেশি। তাই বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করা হয়েছে। টেক্সাস ও লিউসিয়ানা এলাকা খালি করে মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে নিরাপদ এলাকায়।
ইতিমধ্যেই খবর পাওয়া গিয়েছে, মোট ৩ লক্ষ ৩০ হাজার বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। টেক্সাসে প্রায় ৮০ হাজার বাড়িতে বিদ্যুৎ নেই। ভয়ঙ্কর ঝড়ের সঙ্গে বৃষ্টির দাপটে ভেসে গিয়েছে বেশ কিছু এলাকা। এদিকে এই এলাকাতেই গত সোমবারই মার্কো নামে আরও একটি হ্যারিকেন আছড়ে পড়েছিল। হ্যারিকেন সেন্টারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে এই দুটি ঝড়ের মধ্যে সময়ের তফাৎ মাত্র ৪৮ ঘণ্টা। তবে মার্কো অনেক কম শক্তিশালী ছিল। মার্কোর প্রভাবে মারা গিয়েছেন ২৪ জন।