ঢাকে কাঠি পড়ে গেছে। কারণ ক্যালেন্ডার বলছে পুজো দোড়গোড়ায় এসে কড়া নাড়ছে। চলতি বছর করোনা আবহে সকলের মন খারাপ থাকলেও কলকাতা আর বাঙালি মানেই দূর্গা পুজো। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে তোড়জোড়। আর মাত্র কয়েকটা দিন তারপরেই মহালয়া পিতৃপক্ষের অবসান ঘটিয়ে সূচনা হবে মাতৃ পক্ষের। মহামারীর দুর্যোগ মাথায় নিয়েই এবার হবে মাতৃ বন্দনা।
প্রতিবছর বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দূর্গা পুজোর জন্য অপেক্ষা করে থাকে শহরবাসী। সকলেরই জানা সাবেকিয়ানা থেকে থিম সকল পুজোর ক্ষেত্রেই কলকাতার জুড়ি মেলা ভার। পুজোর দিনগুলি তিলোত্তমা সেজে ওঠে এক অন্যরূপে।
আলোয় আলোয় ভরে যায় রাজপথ থেকে ওলি গলি। যদিও চলতি বছর মহালয়ার প্রায় এক মাস পর পুজো। কিন্তু বাঙালির কাছে মহালয়া হয়ে যাওয়া মানেই শুরু পুজোর। ইতিমধ্যেই পুজো প্যান্ডেল গুলি সেরে ফেলেছে খুঁটিপুজোর কাজ। জোরকদমে চলছে প্যান্ডেল তৈরিও। কিন্তু জানেন কি মহালয় কবে?
এই বছরের মহালয়া ৩১ ভাদ্র ১৪২৭ অর্থাৎ ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ বৃহস্পতিবার। মহালয়ার পূণ্য তিথিতে অমাবস্যার যোগ শুরু হবে ৩০ ভাদ্র ১৪২৭ অর্থাৎ ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ বুধবার সন্ধ্যা ৭ টা বেজে ০৭ মিনিট থেকে। অমবস্যা শেষ হবে – ৩১ ভাদ্র ১৪২৭, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ বৃহস্পতিবার বিকেল ৫ টা বেজে ৪ মিনিটে। এর ঠিক একমাস পর ২০২০ সালের দুর্গাপুজো শুরু হবে ২১ অক্টোবর বুধবার। প্রতিবছরই বাঙালি মহালয়ার ভোররাতে রেডিও খুলে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের গলায় স্তোত্রপাঠ শোনার পরেই তর্পণের জন্য গঙ্গার ঘাটে ভিড় জমায় আশা করা যাচ্ছে এই বছরও তার ব্যতিক্রম হবে না।
কিন্তু জানেন কি চলতি বছর মা দূর্গার আসা যাওয়া কিসে? না জানলে দেখে নিন। শাস্ত্র মতে এই বছর মা আসছেন দোলায়। স্বামীর ঘর থেকে দোলায় চড়ে বাপের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন মা দূর্গা। আর বাপের বাড়ি থেকে শ্বশুর বাড়ির উদ্দেশ্যে গজে অর্থাৎ হাতিতে চড়ে মা পাড়ি দেবেন। বিশেষজ্ঞদের মত, দোলায় আগমনের অর্থ মড়ক। যার অর্থ পুজোর পরও মহামারীর পরিস্থিতি বজায় থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে গজে চড়ে গমনের ফল শুভ হয়।