অফবিটনিউজ

Kumari Puja: দূর্গা পূজার অন্যতম অঙ্গ কুমারী পূজা! কেন করা হয় জেনে নিন

কেন হয় কুমারী পূজা? এর ইতিহাস কী? জানুন

Advertisement
Advertisement

দুর্গাপুজোর অন্যতম আকর্ষণ হল কুমারী পুজো (Kumari Puja)। বাংলা সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তেই এই পুজোর প্রচলন রয়েছে। যেখানে শিশু কন্যাকে পুজো করার মাধ্যমে নারী শক্তিকে সম্মান করা হয়। কুমারী পুজোয় কুমারীর পায়ে পদ্ম অর্পণ করা হয়। এর মধ্যে দিয়ে আসলে মা উমাকেও পুজো করা হয়। পুরানেও এই কুমারী পূজার উল্লেখ পাওয়া যায়। অন্যদিকে তন্ত্র শাস্ত্রে কুমারীকে যোগিনী হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।

দুর্গা পুজোর অষ্টমীর দিন সকালে কুমারী পুজোর (Kumari Puja) আয়োজন করা হয়। তবে অষ্টমী ছাড়াও সপ্তমী, নবমী যে কোনো দিনই কুমারী পূজা করা যায়। এই তিনদিনের যে কোনো একদিন ১৬ বছরের কম বয়সী নাবালিকা শিশুকন্যাকে কুমারী হিসাবে পুজো করা হয়ে থাকে। তবে কেন কুমারী পুজো করা হয়? জানেন কি? যদি না জেনে থাকেন, তাহলে এই প্রতিবেদন থেকে জেনে নিন।

শাস্ত্র মতে, একসময় বনাসুর স্বর্গ থেকে মর্ত্যলোক দখল করে নেয়। বনাসুর স্বর্গ-মর্ত্য অধিকার করে নিলে বিপদে পড়ে স্বর্গের দেবতাগণ। এরপরই দেবতারা মহাকালীর কাছে বিপদ মুক্তির জন্য প্রার্থনা করে। দেবতাদের প্রার্থনায় সাড়া দিয়ে মহাকালী শিশুকন্যা হিসাবে জন্ম নেয় এবং কুমারী হিসাবে বনাসুরকে হত্যা করেন। আর বনাসুরকে হত্যা করার পর থেকে মর্ত্যে কুমারী পূজা (Kumari Puja) করা হয়।

কুমারী পূজার বেশ কিছু নিয়ম বিধি রয়েছে। এই পূজায় ১ থেকে ১৬ বছর বয়সী অরজঃস্বলা কুমারী মেয়ের পুজো করা হয়। এই শিশুকন্যাকে নতুন বস্ত্র পড়িয়ে পায়ে আলতা ও কপালে সিঁদুরের টিপ দেওয়া হয়। ১৯০১ সালে কলকাতার বেলুড় মঠে প্রথম কুমারী পূজার সূচনা করেন স্বামী বিবেকানন্দ। এখনো প্রতি বছর অষ্টমীর সকালে বেলুড় মঠে কুমারী পুজো (Kumari Puja) করা হয়।

Related Articles