ছত্তিশগড়ে দেখা গেল দুধের মতো ধবধবে সাদা সাপ, চমকে গেলেন বিশেষজ্ঞরাও
সাপটির এই অদ্ভুত রং দেখে তারা ঘাবড়ে যান। আর তারপর এক সর্প বিশেষজ্ঞকে খবর দেওয়া হয়।
এবার ফের দেখা মিলল এক বিরল প্রজাতির সাপের। উত্তর ছত্তিশগড়ের অম্বিকাপুরে এক বিরল প্রজাতির কেউটে সাপ মিলেছে। হ্যাঁ সাপের রং ধবধবে সাদা। আর এই সাপটি অ্যালবিনিজম অর্থাৎ শ্বেতী রোগাক্রান্ত। সুরজপুর জেলার জয়নগর গ্রামের বাসিন্দারা এরকম অজানা সাপ দেখে অবাক হয়ে যান। সাপটির এই অদ্ভুত রং দেখে তারা ঘাবড়ে যান। আর তারপর এক সর্প বিশেষজ্ঞকে খবর দেওয়া হয়।
সত্যমকুমার দ্বিবেদী সর্প বিশেষজ্ঞ কুয়োর ভিতর থেকে সাপটিকে উদ্ধার করেন। তিনি জানিয়েছেন যে তিন তাঁর জীবনে তিনশোর বেশি সাপ ধরেছেন। তবে এরকম সাপ আগে কখনও দেখেননি। এই ধরনের সাপ ছত্তিশগড়ে সাধারণত দেখতে পাওয়া যায় না। হঠাৎ করে এই সাপ কি করে এই এলাকায় এল তাই নিয়ে বিস্মিত গ্রামবাসীরা।
তবে এই সাপের ভয়ের কোনো কারণ নেই। এই প্রজাতির সাপ মোটেই আক্রমণাত্মক নয়। খোঁচা দিলেও এরা পাল্টা আক্রমণ করে না। এই সাপ ওদের মাথা দেহের মধ্যে লুকিয়ে আত্মরক্ষা করতে দেখা যায়। এই সাপগুলি নিরীহ হলেও সাধারণ কেউটে বা কমন ক্রেইট অত্যন্ত বিষধর। যদি কালো বা হালকা মিশেল রঙের সাপ কাউকে কামড়ায় তাহলে সাক্ষাৎ মৃত্যু অবধারিত। তবে এই সাদা সাপ বা চিতি সাপ বিষধর নয়। তবে সব প্রজাতির কেউটেই নিশাচর।
দিনের বেলাতে এই দলের সাপেরা ঘুমিয়ে থাকে, রাতের বেলা এদের আনাগোনা বাড়ে। মেলানিনের অভাবেই এই ধরনের সাপের শরীর শ্বেতবর্ণ বা সাদা রঙের ধারণ করে। অনেক সময় এই সাপের রং গোলাপি বা হলুদও হয়।