ভারত ও চীনের মধ্যে সীমান্তকে ঘিরে তৈরি হওয়া বিরোধ নিয়ে বাড়ছে উত্তেজনা। সিকিম ও লাদাখ সীমান্তে চিন এবং ভারতীয় সেনার মধ্যে উত্তেজনার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। ভারত এবং চিনের মধ্যে দীর্ঘ ৩,৫০০ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকা রয়েছে। সেই সীমান্ত এলাকাতেই দুই দেশের সেনার মধ্যে বিরোধীকর মনোভাব তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে বিরোধের মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দিয়ে বসল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ডোনাল্ড ট্রাম্প এদিন টুইটারের মাধ্যমে এমন প্রস্তাব পেশ করেন।
তিনি টুইটারে লিখেছেন, ‘প্রয়োজনে আমেরিকা ভারত-চিন বিরোধের মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত’। মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরো লেখেন, “আমরা ভারত ও চিন দুই দেশকেই জানিয়েছি যে আমেরিকা তাদের মধ্যেকার ক্রমবর্ধমান সীমান্ত বিরোধের মধ্যস্থতা বা সালিশি করতে প্রস্তুত, ইচ্ছুক এবং সক্ষম”! শুধু ভারতের সাথেই নয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সোনার সাথেও বিবাদে জড়িয়েছে চিনা সেনাবাহিনী। এরমধ্যে মার্কিন নৌবাহিনীকে বিতর্কিত দক্ষিণ চিন সাগরে টহল দিতেও দেখা গিয়েছে। গত ৯ ই মে ভারতীয় টহলদারী দলের ১৫ থেকে ২০ জন কর্মীর সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে চিনা সেনারা। সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের ভূখণ্ডে ঢোকার চেষ্টা করে চিনা সেনাবাহিনী। চিনের তরফ থেকে গালওয়ান নদীর কাছেও তাঁবু খাটানোর চেষ্টা করা হয়।
এই ঘটনার পরেই ভারতীয় সেনাবাহিনী গালওয়ান অঞ্চলে সেনার সংখ্যা বাড়িয়ে বিয়ে সেখানকার নিরাপত্তা আরও জোরদার করে। এর আগে ভারতীয় সেনাবাহিনী থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল যে, চিনা হেলিকপ্টারগুলি লাদাখের বিতর্কিত অঞ্চলে প্রবেশ করে সেখানে টহলদারি চালাচ্ছে। লাদাখে ক্রমেই বেড়ে চলেছে চিনা হেলিকপ্টার আনাগোনা এমনটাই জানিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। ভারত বরাবরই সীমান্ত রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এসেছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী আরও বেশি করে সীমান্ত এলাকায় তৎপর হয়েছে। কারণ সীমান্তকে রক্ষা করতে দেশের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ভারতীয় সেনাবাহিনী।