লোকসভা ভোটে প্রথমবার প্রার্থী হিসাবে বসিরহাট থেকে জয়ী হয়েছেন নুসরত জাহান। সেখানে সাংসদ হিসেবে বেশ জনপ্রিয়ও হয়েছেন তিনি। গতকাল প্রধানমন্ত্রী তাঁর লোকসভা কেন্দ্রে এলেও মোদি দর্শন হলো না নুসরতের। বসিরহাট কলেজে পৌঁছেও ‘অভিমান’ করে ফিরে এলেন বসিরহাটের সাংসদ নুসরত জাহান। আজ দীর্ঘ এক ঘন্টা হেলিকপ্টার সফরে বিধ্বস্ত বাংলা পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বাংলা পরিদর্শনের সময় হেলিকপ্টারে তাঁর সফর সঙ্গী ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ও। আমফান এর প্রভাবে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা কতটা বিধ্বস্ত হয়েছে তা নিজের চোখে দর্শণ করেন মোদি।
বাংলা দর্শণের পর বসিরহাটে পৌঁছায় মোদি। হেলিকপ্টার ল্যান্ডিং -এর জন্য বসিরহাট কলেজ লাগোয়া পিছনের মাঠে তৈরি অস্থায়ী একটি হেলিপ্যাড তৈরি করা হয়েছিল। সেখানেই এক চপার থেকে নামেন মুখ্যমন্ত্রী-রাজ্যপাল এবং প্রধানমন্ত্রী। মোদিকে স্বাগত জানাতে সেখানে হাজির হন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়, দেবশ্রী চৌধুরি এবং আরো অনেক বিজেপি নেতৃত্ব। সেখানেই বৈঠকে বসেন তাঁরা।
সেই সময় কলেজে গিয়ে পৌঁছোয় বসিরহাটের সাংসদ নুসরতও। তবে নুসরত সেখানে একা ছিলেন না। তাঁর সঙ্গে স্বামী নিখিল জৈনও উপস্থিত ছিলেন সেখানে। প্রথমে কলেজে ঢোকার মুখে নুসরতকে বাধা দেওয়া হয়। পরে অবশ্য নিজের পরিচয় দেওয়ার পর তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হলেও বাঁধা দেওয়া হয় তার স্বামী নিখিলকে। সেই মুহূর্তে এসপিজির তরফ থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয় যে, ভিতরে প্রশাসনিক বৈঠক হচ্ছে, কোনও রাজনৈতিক দলের বৈঠক নয়। তাই সাংসদ অন্য কাউকে সঙ্গে নিয়ে যেতে পারবেন না। এই বিষয়টি নুসরত মেনে নিতে না পারায় সেখানে শুরু হয় তর্ক-বিতর্ক। শেষমেষ অনুমতি না পাওয়ায় নুসরত বেরিয়ে যান কলেজ থেকে। নিজের কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী এলেও তাঁর সাথে সাক্ষাৎ না হওয়ায় এক প্রকার অভিমান নিয়ে চলে যান নুসরত জাহান।