দাউদ ইব্রাহিমকে সন্ত্রাসের আর এক নাম বলা যেতে পারে। বহু জঙ্গি হামলা এবং বিস্ফোরণের মাস্টার মাইন্ড দাউদ। দুদিন আগেই একটি খবর ভাইরাল হয়েছিল দাউদ এবং তার স্ত্রী নাকি করোনায় আক্রান্ত। এছাড়া শোনা যাচ্ছিল দাউদ নাকি করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। দাউদ এর করোনা আক্রান্ত প্রসঙ্গে লন্ডনের একটি প্রভাবশালী সংবাদপত্র দাবি করেছেন পাকিস্তানি সেনা বাহিনীর নির্দেশে গোপন অভিযানে মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিমকে হত্যা করা হয়েছে, করোনা সংক্রমণের দাউদ এর মৃত্যু হয়নি। ভারতের গোয়েন্দা গোপনভাবে লন্ডনের সংবাদপত্রের খবরটি উদ্ধার করেছে।
এই সংবাদপত্রটিতে বলা হয়েছে, কোনো সেনা বাহিনীর আক্রমনে নয়, সেনা বাহিনীর চিকিৎসক চালাকির মাধ্যমে দাউদকে হত্যা করা হয়েছে। কারণ যেভাবে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ বিকল হয়ে মৃত্যু হয়েছে তা দেখে স্পষ্ট বোঝা যায় তার শরীরে মারাত্বক রাসায়নিক ইনজেকশন শরীরে দেওয়া হয়েছিল।
অ্যাবটাবাদের আড্ডায় মার্কিন অভিযানে বিন লাদেনের মৃ্ত্যুর পর গোটা বিশ্বের টার্গেট ছিল দাউদ ইব্রাহিম। আমেরিকার কাছে খবর ছিল দাউদ পাকিস্থানে ঘাঁটি গেড়ে বসে আছে। তাই ক্রমশ পাকিস্থানের ওপর চাপ সৃষ্টি করছিল আমেরিকা। লাদেনের মৃত্যুর পর গোটা বিশ্বের কাছে পাকিস্থানের যে ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছিল তার পূনরাবৃত্তি করতে চাননি পাকিস্থান, তাই ২০১৭ থেকে দাউদকে ঝেড়ে ফেলতে ফেলতে চেয়েছিল পাকিস্থান সেনা বাহিনী, এমনটাই ওই লন্ডনের সংবাদপত্রটিতে উল্লেখ রয়েছে।
তবে ভারতীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক দাউদের মৃত্যু নিয়ে জানান যে, তাদের কাছে এখনও পর্যন্ত সঠিক খবর এসে পৌঁছায়নি। তবে আশঙ্কা করা যাচ্ছে, যেহেতু ভারত, আমেরিকা এছাড়া ইউরোপীয় দেশগুলো পাকিস্থানের ওপর চাপ সৃষ্টি ক্রমশ করছিল দাউদ কে সামনে নিয়ে আসার জন্য তাই এটা কোনো মিথ্যে ষড়যন্ত্র হতে পারে দাউদকে নিরাপদ রাখার জন্য। আশঙ্কা করা যাচ্ছে দাউদ এর মৃত্যুর মিথ্যে খবর রটিয়ে আড়াল থেকেই অন্য কোনো হামলার ছক কষছে ডন দাউদ ইব্রাহিম।