এমনিতেই করোনার চাপে নাজেহাল গোটা দেশ, তার উপর ভয়ঙ্কর ঘুর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস দিল আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে উপরে ধীরে ধীরে ঘনীভূত হয়ে শক্তি সঞ্চয় করে প্রবল শক্তিশালী হয়ে উঠছে ঘূর্ণিঝড় “আমফান”। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই একটি রূপ ধারণ করে আছড়ে পড়বে রাজ্যের উপর। আবহাওয়া দপ্তর অফিস থেকে আশঙ্কা করা হচ্ছে বঙ্গোপসাগরের উপর তৈরি হওয়া নিম্নচাপ শনিবার বিকেলের মধ্যে প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের রূপ ধারণ করবে। এরপরই ঘূর্ণিঝড় স্থলভাগের দিকে এগোতে শুরু করবে। মধ্য বঙ্গোপসাগরের কাছে এসে একটি পূর্ণ শক্তি সঞ্চয় করে শক্তিশালী হয়ে উঠবে। এখনো পর্যন্ত ঘূর্নিঝড়ের গতিপথ ওড়িশার দক্ষিণ ও অন্ধ্রপ্রদেশের উত্তর ভাগে। সে ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের উপর প্রভাব পড়ার আশঙ্কা প্রবল।
নিম্নচাপটির বর্তমান অবস্থান ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে প্রায় ১১০০ কিলোমিটার দক্ষিণে। দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগরের উপর ধীরে ধীরে ঘনীভূত হওয়া ওই নিম্নচাপ ১০. ৪ ডিগ্রি অক্ষাংশ এবং ৮৭.০ ডিগ্রি দ্রাঘিমাংশ থেকে ক্রমশই শক্তি বাড়িয়ে ওড়িশার দিকে এগোচ্ছে। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওই নিম্নচাপ একটি তীব্র ঘূর্ণিঝড়ের আকার নিয়ে আছড়ে পড়তে পারে। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ওড়িশা উপকূলে ব্যাপক ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এর জেরে ওড়িশার ১২ টি উপকূলীয় জেলাকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।
ওড়িশার উপকূল অঞ্চল এবং আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের বিচ্ছিন্ন এলাকাগুলিতে ভারী বৃষ্টিপাতের সর্তকতা জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর। এর প্রভাবে আগামী ৫-৬ দিন পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব ও পশ্চিম মেদনীপুরে হালকা থেকে মাঝারি, আবার কোথাও কোথাও ভারী বর্ষণও হতে পারে। উপকূলীয় অঞ্চলের উপর দিয়ে বয়ে যাবে দমকা ঝড়ো হাওয়া।