গত কয়েকদিন আগেই ভারত-চীন এর দুই দেশের সেনাপ্রধান বৈঠক করেন লাদাখে ভারত সীমান্তে চীন সেনার অবাধ প্রবেশ নিয়ে কিন্তু কোনো সমাধান হয়নি। গত সোমবার ‘রক্তক্ষয়ী’ সংঘর্ষ হয়েছে দুই দেশের সেনার মধ্যে। সোমবার, চীন সেনা ভারতীয় সীমান্তে লাদাখের গালোয়ান উপত্যকায় হামলা চালায়। দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষে চীনে সেনার গুলিতে শহীদ হয় ২০ জন ভারতীয় সেনা এবং গুরুতর আহত ১৭ জনের মতো এমনটাই জানা গিয়েছে এএনআই সংবাদসংস্থার প্রতিবেদন থেকে। চীনের তরফ থেকে জানানো হয়নি যে এই সংঘর্ষে তাদের সেনা কতজন আহত হয়েছে বা প্রাণ হারিয়েছে। কিন্তু ভারতীয় সেনা সূত্রের খবর অনুযায়ী, চীনের ৪৩ জন সেনা গুরুতর আহত হয়েছে।
কিন্তু চীন প্রথম থেকেই নিজের দায় গা থেকে ঝেড়ে ফেলতে চাইছে। চীন সমস্ত দায় ভারতের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে। চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিঝিয়ান বলেন, ‘ভারতীয় সেনাই নাকি বেআইনিভাবে সীমান্ত পেরিয়ে গিয়ে চিনা সেনার উপর আক্রমণ চালিয়েছে। আর তার প্রতিবাদে পাল্টা জবাব দিয়েছে চীন সেনা।’ তিনি আরও বলেন, ‘ভারত যেন একতরফা কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করে নাহলে সীমান্তে পরিস্থিতি আরও জটিল হবে।’ ঝাও লিঝিয়ান বলেন,‘চীন, ভারতের সঙ্গে আর কোনও ঝামেলা চাই না। আমরা আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান চায়।”
গতকাল রাত্রে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী চার হেভিওয়েট মন্ত্রী সহ ক্যাবিনেট মিটিংয়ে ছিলেন ভারতীয় সেনার চিফ জেনারেল এমএম নারাভানে। এই মিটিং এ লাদাখ লাদাখে গালোয়ান উপত্যকায় চিন-ভারত সংঘর্ষ নিয়ে আলোচনা হয়। ভারত কোনো ঝামেলা চাইনা কিন্তু সীমান্তে চীন সেনার কোনওরকম প্রবেশ ও আগ্রাসন মেনে নেবে না ভারত। সীমান্তে চীন সেনার প্রবেশ ঠেকাতে ভারতীয় সেনাকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছে কেন্দ্র।
ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর চীনের বিদেশমন্ত্রক কে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে এটা চীনের পরিকল্পিত পরিকল্পনা। ভবিষ্যতে এই ধরনের কোনো পদক্ষেপ ভারত বরদাস্ত করবে না।