করোনার প্রকোপে যখন সারা বিশ্ব জুড়ে গেল গেল রব, তখন পাকিস্তান ও চীন নিজেদের পুরনো অভ্যেস একভাবেই বজায় রেখেছে। সুযোগ পেয়ে পাকিস্তান যেমন সংঘর্ষ বিরতির নির্দেশ লংঘন করে ক্রমশ হামলা চালানোর চেষ্টা করে চলেছে, তেমন চিনও সিকিম সীমান্তে সংঘর্ষের পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করে চলেছে। রবিবার সিকিম নাকু লা সেক্টর টহলদারির সময় তারা ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করে। বিষয়টি নজরে আসতেই ভারতীয় সেনা জওয়ানরা তীব্র প্রতিবাদ জানালে শুরু হয় বচসা এবং তারপর হাতাহাতিও হয়। হাতাহাতিতে ৭ জন চিনা জন ও ৪ জন ভারতীয় জওয়ান সামান্য জখম হয়।
এরপরে ওই ঘটনাকে ঘিরে সৃষ্টি হয় প্রবল উত্তেজনা। স্থানীয় সূত্রের মাধ্যমে জানা যায় সীমান্ত টহলদারি সময় ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে পড়ার বদঅভ্যেস চিনা জওয়ানদের বরাবরই রয়েছে। মাঝে ভারতীয় জওয়ান দের প্রতিবাদে কিছুদিনের জন্য তাঁরা দমেও গেছিল। এরপর বেশ দীর্ঘ সময় পরেই চিনা জওয়ানরা আবার ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে চাইছে।
ঘটনাটি আসলে কি ঘটেছিল জানতে চাইলে স্থানীয়রা জানায়, আজ অর্থাৎ রবিবার সকালে ৫ হাজার মিটারের বেশি উচ্চতায় অবস্থিত উত্তর সিকিমের নাকু লা সেক্টরের কাছে ইন্দো-চিন সীমান্তে দু’পক্ষের সেনাকর্মী টহলদারি চালাচ্ছিলেন। সেই সময় চিনা জওয়ানরা আচমকা ভারতীয় ভূখণ্ডের মধ্যে ঢুকে পড়ে শুরু হয় গন্ডগোল। এরপরে নিমিষের মধ্যে ভারত ও চীন উভয় দেশের প্রায় ১৫০ মত জওয়ান জড়িয়ে পড়ে বচসা ও হাতাহাতিতে। ভারতীয় সেনা সূত্রে জানানো হয়, চিনা জওয়ানরা ভারতের ভূখণ্ডে প্রবেশ করতে চাইলে ভারতীয় জওয়ানরা যোগ্য জবাব দিয়ে তাদের সীমান্তের ওপারে পাঠিয়ে দেয়। এই ঘটনায় সিকিম সীমান্তে এখন উত্তেজনা প্রবল। পরিস্থিতি ঠান্ডা হলে দুই দেশের সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ আধিকারিকের মধ্যে এই বিষয়টি নিয়ে বৈঠক হবে বলে জানা গিয়েছে।