সর্দি-কাশি বা হাঁচি, সঙ্গে গা গরম! জ্বর নাকি করোনার হানা? বুঝবেন কি করে, জেনেনিন
দেবপ্রিয়া সরকার : করোনা ভাইরাস এর প্রথম লক্ষণ জ্বর, মাথাব্যথা ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা। কিন্তু সামান্য জ্বরেই আপনি চিন্তিত হয়ে পড়ছেন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন কিনা এবং অস্থির হয়ে সাথে সাথেই ছুটছেন চিকিৎসকের কাছে পরীক্ষা করাতে। এরকম অস্থির হয়ে বহু মানুষ চিকিৎসকদের কাছে গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এই বিষয়টি কে লক্ষ্য করে একদল চিকিৎসাবিজ্ঞানী সাধারণ জ্বর ও করোনার জ্বর কোনটি সেটি কিভাবে বোঝা যাবে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছে।
চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন সাধারণ জ্বর ও ঠাণ্ডা লাগার থেকে করোনা অনেক বেশি বিপজ্জনক। WHO অর্থাৎ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একে অজানা বিপদ আখ্যা দিয়েছে। জামা নামে এক মার্কিন পত্রিকায় ২৮ ফেব্রুয়ারি একটি রিপোর্ট বের হয়। তাতে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস আক্রান্ত ৮৩-৯৮ শতাংশ লোকের শরীরে জ্বর দেখা দেয় এবং ৭৬-৯২ শতাংশ লোকের থাকে শুকনো কাশি ও ১১-৪৪ শতাংশের ক্লান্তিভাব, পেশিতে ব্যথা। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, কাশি বা সর্দির লক্ষণ দেখে বোঝা সম্ভব নয় যে সেটি সাধারণ ঠাণ্ডা লাগা না করোনাভাইরাস। তবে দু’ক্ষেত্রেই লক্ষণ শ্বাসকষ্ট। কিন্তু করোনা হলে জ্বর বাড়তে থাকে দ্রুত এবং এর সাথে কাশি, ক্লান্তি, গায়ে ব্যথার পাশাপাশি কখনও কখনও বমিও হতে পারে। দু’ক্ষেত্রেই নিউমোনিয়াও দেখা দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। উভয়ের ক্ষেত্রেই এটি অল্প দিন স্থায়ী হতে পারে বা দীর্ঘদিনও স্থায়ী হতে পারে।
তবে এখনো পর্যন্ত জানা গিয়েছে Covid-19 হওয়ার কারণ একটিমাত্র ভাইরাস, কিন্তু ফ্লু অনেক ভাইরাস একত্রিত হয়ে হতে পারে। WHO (world health organisation) -এর রিপোর্ট অনুযায়ী প্রতি বছর গোটা বিশ্বে ৩০-৫০ লাখ মানুষ ফ্লু বা ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হন, যাদের মধ্যে ২ লাখ ৯০ হাজার থেকে ৬ লাখ ৫০ হাজারের মৃত্যু হয় শ্বাস প্রশ্বাস সংক্রান্ত অসুখ থেকে। সাধারণ ওষুধ খেয়ে ঘরে বিশ্রাম নিলে সপ্তাহ ২ এর মধ্যে এই সমস্যা মিটে যায়। কিন্তু করোনা ভাইরাস আক্রমণের ক্ষেত্রে ব্যাপারটি সম্পূর্ণ উল্টো। করোনা ভাইরাস এর জন্য এখনো পর্যন্ত নির্দিষ্ট কোনো ওষুধ তৈরি হয়নি। তবে চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা চেষ্টা করে চলেছে সেই ওষুধ বের করার।