দোরগোড়ায় কড়া নাড়ছে একুশের নির্বাচন। নির্বাচনের আগে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তেও নারাজ বিজেপি তৃণমূল। কিছুদিন আগেই রাজ্যে এসে সভা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর তারপরেই বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সভার পাল্টা সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই সভায় কিন্তু আজ তৃনমূলে যোগ দেন বাম মনোভাবি অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ। সায়নী ঘোষের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরই বিস্ফোরক অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়।
গত কয়েকদিন ধরেই রাজনৈতিক দলগুলোতে যোগ দেওয়ার হিড়িক লেগেছে টলিপাড়ার তারকাদের। কিছুদিন আগেই তৃণমূলে যোগ দেয় অভিনেতা সৌরভ,অভিনেত্রী লাভলি। সম্প্রতি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন অভিনেতা যশ দাশগুপ্ত। এরই মাঝে আজ বুধবার তৃণমূলে যোগ দিলেন অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক সায়নী ঘোষ, মানালি সহ আরও অনেকে।
তৃণমূলে যোগ দিয়েই কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর হয়ে গলা তোলেন সায়নী ঘোষ। কিছুদিন আগেই কিন্তু যখন পরিচালক অনেক ঘোষের ভবিষ্যতের ভূত সিনেমা হলে দেখানো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল তখন কিন্তু বামেদের হয়ে পথে নামতে দেখা গিয়েছিল সায়নী ঘোষকে। যদিও কিছুদিন আগেই তথাগত রায়ের সঙ্গে ট্যুইট-যুদ্ধ বেঁধে গিয়েছিল সায়নীর। বিজেপির আক্রমণের মুখে পড়েছিলেন অভিনেত্রী। সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন বলে মন্তব্য করেছিলেন সায়নী।
এরইমধ্যে কিন্ত এদিন তৃণমূলে যোগ দিলেন সায়নী ঘোষ। আর এই ঘটনায় অত্যন্ত ভেঙে পড়েছেন বাম মনষ্ক শ্রীলেখা মিত্র। সায়নী তৃণমূলে যোগদানের পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে শ্রীলেখা লেখেন,
‘এটা আশা করিনি। সায়নী তুইও বিক্রি হয়ে গেলি? খেলতে নামলি? খুব দুর্ভাগ্যজনক। আমি আজকাল কেমন একটা হয়ে যাচ্ছি কিছু ভালো লাগছে না। মানুষকে আর বুঝতে পারছি না’।