বাংলা চলচ্চিত্র জগতের অন্যতম পরিচিত অভিনেত্রী হচ্ছেন শ্রীলেখা মিত্র। ৫০ ছুঁই ছুঁই বয়স কিন্তু আজও পুরুষদের মনের অন্দরে ঝড় তোলার ক্ষমতা রাখেন তিনি। বহু মানুষের বিশেষ পছন্দের পাত্রী হিসেবে জায়গা করে নিয়েছেন এই বাঙালি অভিনেত্রী। কিন্তু যে হট শ্রীলেখা সকলের রাতের ঘুম কাড়ে এবার সেই হয়ে গেলেন খোক্কসী রানি। অবাক লাগছে? অবাক হলেও এটাই সত্যি।
বড় পর্দায় শ্রীলেখার অভিনয়ের জীবন শুরু হয়েছিল ‘বাবা কেন চাকর’ ছবির মধ্য দিয়ে। তারপর থেকেই একের পর এক ছক্কা মেরেছেন অভিনেত্রী। এই অভিনেত্রীর বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তিনি অন্য সকলের থেকে বেশ ভিন্ন। কারণ সাধারণত দেখা যায় অভিনেত্রীদের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়তে শুরু করে। একই সঙ্গে কমে যায় শারীরিক সৌন্দর্য্য। কিন্তু শ্রীলেখা মিত্রের ক্ষেত্রে বিষয়টি অন্যরকম। যত বয়স বাড়ছে ততই যেন জনপ্রিয় হয়ে উঠছেন অভিনেত্রী। তবে, দীর্ঘদিন পর ফের টেলিভিশনের পর্দায় ফিরছেন শ্রীলেখা মিত্র। আর সেখানেই খোক্কসী রানি রূপে দেখা যাবে অভিনেত্রীকে।
এবার আসল ব্যাপার খোলসা করে বলা যাক। সান বাংলার ‘বেদের মেয়ে জোৎস্না’ ধারাবাহিকে দেখা যাবে অভিনেত্রীকে। একেবারে কাল্পনিক চরিত্রের ওপর ভিত্তি করে এই ধারাবাহিক। সীমিত পর্বের জন্য বিশেষ চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাবে তাঁকে। ইতিমধ্যেই টেকনিশিয়ান স্টুডিতেও এই ধারাবাহিকের জন্য শ্যুটিং শুরু করে ফেলেছেন শ্রীলেখা। এই
ধারাবাহিকে দুই কেন্দ্রীয় চরিত্র রোহিনীর ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে শ্রীমা ভট্টাচার্য ও অগ্নির ভূমিকায় অর্ক জ্যোতি পালকে। বলে রাখি, রোহিনী ও খোক্কস রাজপুত্র অগ্নির প্রেমের গল্প নিয়ে ,‘বেদের মেয়ে জোৎস্না’ এই ধারাবাহিকটি পরিচালনা করেছেন সুমন রায় ও মলয় রায়। সন্ধে সাড়ে ৭টায় সম্প্রচারিত হয় ধারাবাহিকটি।
খোক্কসী রানির চরিত্রে অভিনয় করে কেমন লাগছে শ্রীলেখা মিত্রর এই প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন,’আমরা ছোটবেলায় ঠাকুমা, দিদিমাদের কাছে রাক্ষস-খোক্কস, দৈত্য-দানব, অনেককিছুর গল্প শুনেছি। আমি এবার খোক্কসী রানি হয়ে আসছি। বেদের মেয়ে জ্যোৎস্না ধারাবাহিকে খোক্কসী রানির চরিত্রটি করতে বেশ ভালো লাগছে। এখনও পর্যন্ত যেটা দেখেছি, আমি কিন্তু ভালো খোক্কসী রানি, দুষ্টু খোক্কস বা খোক্কসী নয়। অনেকদিন আগে কাল নাগিনী আমায় পাথর করে বালির ভিতর লুকিয়ে রেখেছে। আমি এতদিন পর প্রাণ ফিরে পেয়েছি। এমন একটা বিষয় ধারাবাহিকে দেখা যাবে’।