বিনোদন
Trending

হানিমুনে অঘটন, স্বামীর নির্যাতনে হাসপাতালে অভিনেত্রী পুনম

Advertisement
Advertisement

হাতে মেহেন্দির রং এখনো ফিকে হয়নি 10 দিন আগে নিজেদের বিয়ের কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়ে লিখেছিলেন- আগামী সাত জন্ম কাটাতে চাই। অথচ সাতজন্ম তো দূর হানিমুনে গিয়েই ঘটল বিনা মেঘে বজ্রপাত। স্বামীর বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ আনলো বলিউডের বিতর্কিত নায়িকা পুনম পান্ডে।

1লা সেপ্টেম্বর সাত পাকে বাঁধা পরেছিলেন দুজনে। 10ই সেপ্টেম্বর সর্বসমক্ষে সেই কথা প্রকাশ্যে এনেছিলেন। কিন্তু সেই সম্পর্ক অচিরেই ভেঙে গেল। গোয়ায় হানিমুনে যাওয়ার পরই স্বামীর হাতে নির্যাতিত হন তিনি‌। ইতিমধ্যে স্বামী শ্যাম বম্বের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনেছে পুনম। তার জেরে মঙ্গলবার গ্রেপ্তারও করা হয় শ্যাম বম্বেকে।

প্রায় তিন বছর স্যারের সাথে প্রেম করার পর তাদের বিয়ে হয়। কিন্তু পুনম জানিয়েছেন শ্যামের সাথে তার সম্পর্ক টা বরাবরই হিংসায় ভরপুর থেকেছে। তিনি ভেবেছিলেন বিয়ের পর সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু হানিমুনেই যে এরকম ঘটবে তা ঘুনাক্ষরেও টের পাননি। বরাবরই পুনমের ব্যাপারে পজেসিভ ছিলেন স্যাম যার জন্য ছোট ছোট কারনে মেজাজ হারিয়ে সমস্যা সৃষ্টি হত।

 

View this post on Instagram

 

Here’s looking forward to seven lifetimes with you.

A post shared by Poonam Pandey Bombay (@ipoonampandey) on

হানিমুনে দিয়েও সেইরকম পরিস্থিতি হয়েছিল। একটি বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি থেকে হাতাহাতি অবধি জল গড়ায়। তারপর স্যাম তাকে শারীরিকভাবে আঘাত করতে শুরু করে। টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পুনম জানিয়েছেন, হানিমুনে গিয়ে তাকে স্যাম মারতে শুরু করেন এমনকি এমনভাবে গলা টিপে ধরে যে দমবন্ধ হয়ে যাওয়ার জোগাড় হয়। চলতে থাকে ঘুষি, কিল। পুনমের ভাষায়- “আমার মুখে ঘুসি মারে চুল ধরে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায়, এরপর খাটের কোনায় আমার মাথা ঠুকে দেয়।” এরপর পুনম কোনরকমে ঘর থেকে বেরিয়ে গেলে হোটেল কর্মীরা পুলিশকে ফোন করে এবং বিষয়টি জানান, পুলিশ স্যামকে আটক করে। পুনম জানিয়েছেন তিনি বিয়ে ভাঙার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন। প্রসঙ্গত বুধবার এক আদালত জামিনে মুক্তি পায় স্যাম। পুনম বুধবার সন্ধে পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন বলে জানিয়েছেন অভিনেত্রীরই এক বন্ধু।

Web Desk

We belong to that group who are addicted to journalism. Behind us, there is no big business organization to support us. Our pens do not flow under any other’s commands.

Related Articles