জীবন-মৃত্যুর দোলাচলে অমিতাভ বচ্চন, ডাক্তারের কথা শুনে নিজেকে সামলাতে পারেননি জয়া বচ্চন
বলিউডের অন্যতম সফল জুটি অমিতাভ-জয়া। রুপোলি পর্দার এই হিট জুটির বাস্তব জীবনের ইনিংসটা কিন্তু ব্লকবাস্টার হিট।অমিতাভ-জয়া সুখী গৃহকোণ সত্যি অবাক করে অনেককে। কিন্তু এবার আইসিসিউর বাইরে দাঁড়িয়ে অমিতাভের জন্য কেনও কাঁদছে জয়া? হঠাৎ কি হলো বিগ বি- র!
১৯৭৩ সালের ৩-রা জুন বিয়ের পর্ব সেরেছিলেন বিগ বি ও জয়া। কয়েক ঘন্টায় বিয়ে সেরে চট জলদি রাতের ফ্লাইটেই লন্ডন রওনা দেন। সিলসিলা, অভিমান,চুপকে চুপকে,মিলির মতো অজস্র ছবিতে জুটি বেঁধেছেন অমিতাভ ও জয়া। দুই সন্তান-শ্বেতা,অভিষেক এবং জামাই,বৌমা,নাতি,নাতনি নিয়ে ভরপুর সংসার তাঁদের। কিন্তু মুম্বইয়ের ব্রিজ ক্যান্ডি হাসপাতালের আইসিউয়ের বাইরে জয়াকে চিকিৎসকরা বলছেন ‘যান, মিস্টার বচ্চনকে শেষবারের মত দেখে আসুন’। এই কথা শুনেই অঝোরে কাঁদছেন অমিতাভ পত্নী? নতুন করে আবার কি হলো তার?
আসলে এটা এখনের ঘটনা নয়। সালটা ১৯৮২ সালের ২৬ জুলাই মনমোহন দেশাইয়ের ছবি ‘কুলি’-র শ্যুটিং করতে ফিয়ে গুরুতর চোট পেয়েছিলেন অমিতাভ বচ্চন সেই সময়কার ঘটনা। সেই ঘটনার কথা তুলে ধরে নিজের ব্লগে বিগ বি লেখেন, ‘ ১৯৮২ সালের ২ আগস্ট ব্রিজ ক্যান্ডি হাসপাতালে আমি তখন জীবন আর মৃত্যুর মাঝে দোদুল্যমান। দ্বিতীয় অপারেশনের পর একটা লম্বা সময়ের জন্য আমি অজ্ঞান ছিলাম। জয়াকে আইসিসিউ-তে যেতে বলা হয়, শেষবারের মত স্বামীকে দেখার জন্য। কিন্তু সেই সময় ডঃ উদওয়াদিয়া একটা শেষ চেষ্টা করেছিলেন, আর তাতেই মিরাকল হয়েছিল! তিনি একের পর এক করটিসোন ইঞ্জেকশন দিতে থাকেন, আর তারপরই আমার পা-টা কেঁপে ওঠে। জয়াই প্রথম সেটা লক্ষ্য করে, ও চেঁচিয়ে ওঠে, দেখ ও বেঁচে আছে।
বলে রাখি, কুলি’ ছবির শুটিংয়ের সময় বেঙ্গালুরু বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে সহ-অভিনেতা পুনিত ইসারের সঙ্গে মারামারির একটি দৃশ্যে অভিনয়ের সময় পড়ে গিয়ে তলপেটে গুরুতর চোট পান অমিতাভ। প্রথমে আঘাতের গুরুত্ব বোঝা না গেলেও দ্বিতীয় দিন থেকে পেটে অসহ্য যন্ত্রণা শুরু হয়। ক্রমেই পরিস্থিতি জটিল হয়ে যায়। কয়েক মুহূর্তের জন্য তাঁর হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল বলেও চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন। ডাক্তারি পরিভাষায় যাকে বলে ‘ক্লিনিক্যালি ডেথ’। সংকটজনক অবস্থাতেই তাঁকে বিশেষ বিমানে উড়িয়ে আনা হয় মুম্বইয়ে। অসুখকে হারাতে জানেন অমিতাভ। তাই আজও সুস্থ বিগ বি। বর্তমানে করোনাকে হারিয়ে দিব্যি সুস্থ হয়ে গিয়েছেন অভিনেতা।