বিনোদন

অভিনয় ছাড়াও দেহ ব্যবসার পেশায় জড়িয়েছেন এই ৭ ভারতীয় অভিনেত্রী, দেখে নিন নামের তালিকা

Advertisement
Advertisement

প্রদীপের আলোর নীচেই অন্ধকার। তেমনই বিনোদন জগতের পরতে পরতে জড়িয়ে আছে অপরাধ; পরকীয়া, মাদকযোগ, মাফিয়ারাজ কী নেই সেই তালিকায়। বিনোদন জগৎকে কালিমালিপ্ত করতে ছাড়েনি দেহ ব্যবসাও।

কিছুদিন আগে মুক্তি পায় মধুর ভাণ্ডারকর পরিচালিত ছবি ‘ক্যালেন্ডার গার্লস’। একজন মডেল বা অভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে এসে কীভাবে বিনোদন জগতের মায়ানগরের চোরাগলিতে হারিয়ে যায় তা দেখানো হয়েছিল ছবিতে। মডেল ও অভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে বিনোদন জগতে আসা বহু মেয়ে না জেনে বুঝেই অধিকাংশ সময় দেহ ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন, যার পরিণতিতে বাধ্য করা হয় এই ঘৃণ্য কাজ চালিয়ে যেতে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সমাজের বড় বড় কিছু নামও এসবে জড়িয়ে থাকেন, যাঁরা সহজে ধরা পড়েন না। উচ্চশ্রেণীর মানুষদের কাছে এসকর্ট হিসেবে পাঠানো ছাড়াও অভিনেত্রী ও মডেলদের ব্যবহার করা হয় ‘হানিট্র্যাপ’ হিসেবেও। কেউ বেরিয়ে আসতে চাইলে ভয় থাকে প্রাণসংশয়ের।

সময়ে সময়ে বেশ কিছু অভিনেত্রীর নাম জড়িয়ে দেহব্যবসায়। এদের মধ্যে অধিকাংশ অভিনেত্রীই দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমা জগতের সাথে যুক্ত। মধ্যে অধিকাংশ দক্ষিণী সিনেমার সঙ্গে যুক্ত। যৌনচক্র চালানোর অপরাধে ২০১১ সালে বেঙ্গালুরু পুলিশ গ্রেফতার করে কন্নড় অভিনেত্রী যমুনাকে। সেই বছরই তামিল নায়িকা ও আইটেম ডান্সার আইশ আনসারিও গ্রেফতার হন। হায়দ্রাবাদে পুলিশ রেইড চলাকালীন দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী সায়রা বানু গ্রেফতার হন ২০১০ সালে। দক্ষিণী নায়িকা ভুবনেশ্বরী দেহব্যবসা চালানোর অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন। শুধু তাই নয় তেলেগু ফিল্মের কিন্নেরাও একসময় যুক্ত ছিলেন যৌন পেশার সাথে।

দুর্ভাগ্যবশতঃ একটি হোটেলে অডিশন দিতে গিয়ে মধুচক্রের মেয়েদের সাথে গ্রেফতার হন মকড়ি’ ও ‘ইকবাল’ খ্যাত জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী শ্বেতা বসু প্রসাদ। সেই হোটেলে মধুচক্র চলার করার কথা জানতেন না শ্বেতা। পরে নির্দোষ প্রমাণিত হলে জামিনে মুক্তি পান তিনি৷ এই ঘটনার জেরে তিনি মানসিক অবসাদের শিকার হন। একসময় পেটের দায়ে ‘এসকর্ট’ হতে বাধ্য হয়েছিলেন মডেল-অভিনেত্রী শার্লিন চোপড়া। একসময় ট্যুইটারে তিনি নিজেই জানিয়েছিলেন অভিনয় করতে এসে অচেনা মুম্বই শহরে জড়িয়ে পড়েন ‘এসকর্ট’ সার্ভিসের জালে। অল্প শিক্ষিত হওয়ার কারণে জব পাননি কল সেন্টারে; ফিরে যেতে পারেননি বাড়িও। ফলে পেটের দায়ে ওই কাজে বাধ্য হন তিনি। পরে অবশ্য তিনি বেরিয়ে আসেন ওই চক্র থেকে।

Related Articles