অভিনেত্রী ঐশ্বর্য রাই বচ্চনকে বলিউডের সেরা সুন্দরীরের তালিকায় একেবারে প্রথম সারিতেই রাখা হয়৷ তবে শুধু সৌন্দর্য্যের বিচারে নন, নিজের অভিনয় যোগ্যতাতেও তিনি জিতেছেন বহু মানুষের মন। বলিউড ভাইজানের সঙ্গে সম্পর্কের গুঞ্জন শোনা গেলেও বর্তমানে বচ্চন বধূ ঐশ্বর্য। কিন্তু এবার পুত্রবধূর আচরণের রেগে আগুন অমিতাভ বচ্চন। কিন্তু কি এমন করলেন ঐশ্বর্য!
১৯৯৪ সালে বিশ্বসুন্দরী খেতাব জিতে ছিলেন ঐশ্বর্য। ‘হাম দিল দে চুকে সনাম’-এই ছবিটি ঐশ্বর্যর কেরিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট হিসাবে বিবেচিত হয়। সঞ্জয় লীলা বনসালির এই মেগা ছবিতে তাঁর অভিনয়ে মুগ্ধ হয়েছিল সিনেপ্রেমীরা। সলমনের সঙ্গে তাঁর অনস্ক্রিন রসায়নটি ছিল দুর্দান্ত। অফ স্ক্রিনেও তখন জমে উঠেছিল অ্যাশ-সলমন প্রেম৷ ছবির নন্দিনী এবং ঐশ্বর্য যেন মিলেমিশে এক হয়ে গিয়েছিল, এতটাই নিজের চরিত্রের সঙ্গে একাত্ম হয়ে গিয়েছিলেন অ্যাশ৷ এই ছবির জন্য সেরা অভিনেত্রীর ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড জিতেছিলেন তিনি।
তারপর একের পর এক ছবি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। দেবদাস, রেনকোট, গুরু, যোধা আকবর একাধিক ছবিতে অভিনেত্রীর অভিনয় প্রশংসিত হয়েছিল। এরই মাঝে ২০০৭ সালের ২০ এপ্রিল সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন অভিষেক বচ্চন ও ঐশ্বর্য রাই। কিন্তু ঐশ্বর্যর শশুর অর্থাৎ অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে কি ঐশ্বর্যর সম্পর্ক ঠিক ভালো নয়?
কারণ অমিতাভের সঙ্গে ঐশ্বর্যর সম্পর্ক কেমন সেই প্রশ্ন বারংবার ওঠে একটি ভিডিওকে কেন্দ্র করে। যেখানে লক্ষ্য করা যায় একটি অ্যাওয়ার্ড শোতে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলছেন বিগ বি। কিন্তু সেই সভায় বিগ-বির পুত্রবধূ অর্থাৎ ঐশ্বর্য বারবার হেঁসে হেঁসে অমিতাভ বচ্চনের গায়ে ঢলে পড়ছিলেন। শুধু ঢলেই নয় শশুরকে জড়িয়েও ধরেছিলেন। যা এক্কেবারে পছন্দ নয় অমিতাভ বচ্চনের।
ঐশ্বর্যর এইরকম আচরণে প্রকাশ্যেই অভিনেত্রীকে সাফ জানান ঐশ্বর্য-যেন তার এই আচরণ বন্ধ করে। এমনকি এও বলেন ঐশ্বর্য যেন তার মেয়ে আরাধ্যার মতো আচরণ না করে। এখান থেকে স্পষ্ট ঐশ্বর্যর আচরণের রেগে আগুন হয়ে গিয়েছিলেন অমিতাভ। তবে এটা বলতেই হয় দেখতে দেখতে একসঙ্গে পথচলার ১৩ বছর অতিক্রান্ত করে ফেলেছে ঐশ্বর্য অভিষেক। নীল নয়নার রূপের জাদুতে মুগ্ধ বচ্চন পুত্র।