সুসান সিং রাজপুতের সাথে অঙ্কিতা লোখান্ডের প্রেম সম্পর্কের কথাটা সর্বজনবিদিত। তাদের পবিত্র রিস্তা সিরিয়াল থেকেই প্রেম শুরু হয়, পবিত্র রিস্তা মানব অর্চনা যে বাস্তব জীবনে কোনদিন আলাদা হবেন না এটাই ভাবতেন সকলে। তবে সুশান্তের ফিল্মী কেরিয়ার যখন উত্তরণের দিকে তখনি সম্পর্কে ছন্দপতন ঘটে। সম্প্রতি কঙ্গনা রানাউতের দিদি রঙ্গলি চান্দেল দাবি করেছেন যে সুশান্ত সিং রাজপুত এর বিচ্ছেদ এর পিছনে দায়ী অভিনেতার পিআর টিমের সদস্যরা। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় সুশান্ত-অঙ্কিতা কে নিয়ে একটি আবেগঘন পোস্ট দেখেন তাদের বন্ধু সন্দীপ সিং। সেই পোস্টে তিনি সুশান্ত ও অঙ্কিতার ভালোবাসার দিনগুলোর কথা তাদের একসাথে কাটানোর দিনগুলির কথা শেয়ার করেছেন। আর সেখানেই মন্তব্য করেছেন রঙ্গোলি।
রঙ্গলি সন্দ্বীপের প্রশংসা করে লিখতে শুরু করেছেন এবং সুশান্তের পিআর টিমকে একহাত নিয়েছেন। তিনি লিখেছেন সুশান্ত একটা ফ্যান্সি পিআর নিযুক্ত করেছিল, যে মেয়েটির আদতে ফিল্ম মাফিয়াদের হয়ে কাজ করতো। যে সুশান্তকে বুঝিয়েছিল মিডিয়ার নজর কারতে তোমার একজন আকর্ষণীয় সঙ্গিনীর দরকার আছে। বোঝানো হয়েছিল যে এই জগতে প্রেম ব্র্যান্ডিং। তাই এখানে নিজের ব্র্যান্ড তৈরি করতে হবে আর ব্যক্তিগত দুর্বলতা ভুলে যেতে হবে। রণবীর এবং ফিল্ম ফ্যামিলির ছেলেরা যেমন সুপার মডেলদের সাথে প্রেম করছে তোমাকেও তাই করতে হবে। ওই পিআর বুঝিয়েছিল অঙ্কিতার মত টেলি অভিনেত্রী সাথে সম্পর্ক রাখা ওর সাথে ফ্ল্যাটে থাকা ইমেজ নষ্ট করবে।
তিনি আরো লিখেছেন যে সুশান্ত এরপর বান্দ্রায় থাকতে শুরু করেন, আর ওর চারপাশে ছিল কিছু নকল বন্ধু। এরপর সুশান্ত একজন মডেলকে ডেট করা শুরু করেন কিন্তু সবকিছুই হারিয়ে বসেন তিনি। ওরা সুশান্তকে গ্রহণ করেনি বাঁচতেও দেয়নি এটাই ছিল ওদের স্ট্রাটেজি। পরে ওই পিআর ও বন্ধুরা ওকে ছেড়ে দিল। আর শুরু হল অবসাদ। ওদের নোংরা আঘাতে অবসাদে শেষপর্যন্ত প্রান হারালো সুশান্ত। রঙ্গোলী জানিয়েছছেন এই সকল তথ্য তিনি তার কিছু বন্ধুর কাছ থেকে জেনেছিলেন। তিনি আফসোস করে বলেছেন যে এইসব নকল আলোছায়া প্রতিশ্রুতি ব্যাবসা যদি বন্ধ করার পথ থাকতো তাহলে ভাল হত। মুভি মাফিয়ারা বাইরে উচ্চাকাঙ্ক্ষা নিয়ে আসা প্রতিভাদের সাথে এরকমই করে।