ব্যাঙ্ক, পোস্ট অফিস ও বিভিন্ন ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে ফিক্সড ডিপোজিট ছাড়াও অনেকেই রেকারিং ডিপোজিট বা আরডিতে টাকা জমা দেন। তাই করোনা ভাইরাসের অতিমারীর জন্য কেন্দ্রীয় সরকার এই রেকারিং ডিপোজিটের উপর কিছু ছাড় দিতে চলেছে। এর জন্য কোনও অতিরিক্ত চার্জও দিতে হবে না।
জানানো হয়েছে, রেকারিং ডিপোজিটে মাসে সর্বনিম্ন ১০০ টাকা লগ্নি করতে হবে। তবে প্রতিদিনও টাকা রাখতে পারবেন এতে। ন্যূনতম টাকার পরিমাণ ১০০ হলেও, ডিপোজিট করা টাকার কোনো ঊর্ধ্বসীমা থাকছে না। ১০ এর গুণনীয়ক হিসেবে যে কোনো টাকা গ্রাহকেরা জমা করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, পোস্ট অফিসের রেকারিং ডিপোজিট সাধারণত ৫ বছরের জন্য হয়। ৫ বছরের পর আবার নতুনভাবে আবেদন করে টাকা জমা দেওয়া যায়। এর জন্য ব্যাংক বা পোস্ট অফিসে যাওয়ার দরকার পড়বে না। বাড়িতে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে টাকা জমা দেওয়া যাবে। প্রসঙ্গত সিঙ্গল এবং জয়েন্ট দুই ধরণের অ্যাকাউন্টই খোলা যাবে রেকারিং ডিপোজিটে।
প্রসঙ্গত, রেকারিং ডিপোজিটে সুদ পাওয়া যায় প্রতি ত্রৈমাসিকে কম্পাউন্ড সুদের হিসেব অনুযায়ী। প্রতিদিন ৫০ টাকা করে জমা করলে মাসে ১৫০০ টাকা জমা হবে এবং যদি ৫.৮ শতাংশ ত্রৈমাসিক কম্পাউন্ডিং হিসেবে সুদ পাওয়া যায় তাহলে সেটি ৫ বছরে মোট ১.০৫ লক্ষ টাকা, ১০ বছরে ২.৭৫ লক্ষ টাকা আর ১৫ বছরে ৪.৩ লক্ষ টাকায় দাঁড়াবে।