ATM Fraud: এটিএম প্রতারণার নতুন ফাঁদ পাতছে জালিয়াতরা, এই ভুল করলেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফাঁকা করে দেবে
ATM Fraud: এটিএম কার্ড রয়েছে পকেটে। অথচ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হয়ে যাচ্ছে টাকা। আজকাল হামেশাই ঘটে চলেছে এমন ঘটনা। কখনো ডেবিট কার্ড জালিয়াতি করে তোলা হচ্ছে টাকা কখনো আবার ঢুকে পড়া ক্রেডিট কার্ডের সিঁধ কেটে। আর নেট ব্যাঙ্কিং নিয়ে তো কিছু বলারই নেই। বাড়ি বসে যাবতীয় লেনদেন সেরে ফেলার সুযোগ যেমন রয়েছে সেখানে, ঠিক তেমনই ওত পেতে সর্বদা বসে থাকেন হ্যাকাররা।
টাকা তুলতে গিয়ে ব্যাঙ্কে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকার কথা আমরা প্রায় ভুলেই গিয়েছি। আজকাল সকলেই অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছেন এটিএম কার্ডে। আর এতেই কিন্তু বাড়ছে বিপত্তি। কার্ড ব্যবহার করলেই কেবলমাত্র চলবে না পাশাপাশি মানতে হবে বেশ কিছু সতর্কতা নাহলে কিন্তু বিপদ। সম্প্রতি দিল্লিতে গ্রেফতার হয়েছেন তিন অভিযুক্ত। এটিএম মেশিনে কারচুপি করে সাধারণ গ্রাহকদের পকেট খালি করে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। এই খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই বাড়ছে আতঙ্ক। জেনে নেওয়া যাক কীভাবে থাকা যাবে সতর্ক।
কীভাবে পাতা হচ্ছে ফাঁদ-
এটিএম মেশিন থেকে কার্ড রিডার বের করে রাখছে জালিয়াতরা।
ফলে গ্রাহকরা টাকা তোলার জন্য যখনই কার্ড ঢোকাচ্ছে তখনই তা ভিতরে আটকে যাচ্ছে।
এরপরেই বন্ধু সেজে হাজির হচ্ছেন জালিয়াতরা। পিন নম্বর দিয়ে এন্টার বোতামে প্রেস করতে বলা হচ্ছে গ্রাহককে। আর এখানেই ঘটে যাচ্ছে বিপদ।
এই কাজ করার পরেও সমস্যা হচ্ছে না সমাধান। ফলে জালিয়াতরা পরামর্শ দিচ্ছে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানাতে।
গ্রাহক ভালো মনে কাউন্টার থেকে চলে যাচ্ছেন। আর ঠিক তখনই জালিয়াতরা সেই কার্ড ব্যবহার করে মেশিন থেকে তুলে নিচ্ছে টাকা।
কীভাবে সতর্ক থাকা যাবে-
এটিএম মেশিন ব্যবহারের আগে ভালো করে খতিয়ে দেখে নিতে হবে।
কোন রকমের চিহ্ন কিংবা ক্ষতিগ্রস্ত অংশ রয়েছে যদি মনে হয় তাহলে টাকা তোলা চলবে না মোটেই।
একগুচ্ছ তার কিংবা যন্ত্র লাগানো রয়েছে মনে হলেও টাকা তোলা চলবে না।
এটিএম এর পিন দেওয়ার সময় হাতে করে ঢেকে রাখতে হবে কিপ্যাড।
যে এটিএম কাউন্টারে নিরাপত্তা কর্মী নেই এমন এটিএম কাউন্টার ব্যবহার না করাই ভালো।
প্রয়োজনে ব্যাঙ্কের ভেতরে অবস্থিত এটিএম কাউন্টার থেকে টাকা তুলুন।
নিয়মিত চেক করতে হবে ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট। কোনো লেনদেন নিয়ে যদি হয় সন্দেহ তাহলে অবিলম্বে হতে হবে সতর্ক।