বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকতে গেলে যে ভাইজান সলমন খানের মন জয় করে চলতে হবে তা বেশ ভালোভাবেই জানেন সবাই। কারণ তার সাথে দ্বন্দ্বে যাওয়া মানেই নিজের কেরিয়ার নিজের হাতে শেষ করা। এই বিষয়টি মাথায় রেখেছেন হিমেশ রেশমিয়া। তাইতো তাকে করা সমস্ত অপমান ও বিদ্রুপ সহ্য করেছেন মুখ বুজে। তবে প্রথমদিকে তাদের সম্পর্ক বেশ ভালো ছিল। এমনকি সলমনকে নিজের গুরু মানতেন হিমেশ।
কিন্তু তাদের জীবনে এমন কী হল, যে একে অপরের শত্রু হয়ে উঠলেন তারা? আসুন তবে একদম শুরু থেকে জানা যাক বিষয়টি। বলিউডে হিমেশকে সুযোগ করে দিয়েছিলেন সলমন নিজেই। ১৯৯৮ সালের ছবি ‘প্যায়ার কিয়া তো ডরনা ক্যায়া’-তে প্রথম কাজ করেন হিমেশ। এরপর ‘বন্ধন’, ‘হ্যালো ব্রাদার’-এও কাজ করতে দেখা যায় হিমেশকে। শুধু তাই নয় একক মিউজিক কম্পোজার হিসাবেও কাজ করেন ‘দুলহন হম লে যায়েঙ্গে’তে।
সেখান থেকে ক্রমাগত জনপ্রিয়তা অর্জন করতে থাকেন তিনি। পরবর্তী কাজ ২০০৫ সালের ‘আশিক বনায়ে আপ নে’ তে। যার গান এতোটাই হিট হয়েছিল যে তরুণ প্রজন্মের কাছে হিমেশ ভীষণভানে জনপ্রিয় গায়ক হয়ে ওঠেন। সব ঠিকঠাকই চলছিল তবে ঝামেলার সুত্রপাত ২০০৬ সালে নাগপুরে হওয়া একটি লাইভ শো থেকে। যেখানে হিমেশ মঞ্চে ওঠার পর দর্শকদের মধ্যে তুমুল উত্তেজনা তৈরি হয়। তবে সলমন যখন মঞ্চে আসেন হিমেশের মতো উত্তেজনা দর্শকেরা দেখাননি।
যা মোটেই ভালো চোখে দেখেননি সলমন। তিনি মনে করেছিলেন হয়তো তার থেকেও বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে হিমেশ। ধীরে ধীরে তিনি হিমেশের জন্য সুপারিশ করা বন্ধ করে দেন। কিন্তু তাতে কিছুই যায় আসেনি হিমেশের। তবে বিষয়টি সকলেরই অজানা ছিল। পরের বছর ‘সারেগামাপা’র মঞ্চে সলমন তার ছবি ‘পার্টনার’এর প্রোমোশনে আসেন। যেখানে বিচারকের ভূমিকায় ছিলেন হিমেশ। সেখানে সলমন নিজের ছবির প্রোমোশন না করে সারাক্ষণ হিমেশকেই মজার ছলে অপমান করে যাচ্ছিলেন।
একবার টুপি, জামা আবার কন্ঠস্বর নিয়েও তাকে কথা শোনাচ্ছিলেন তিনি। তবে হিমেশ হাসিমুখেই সবটা মেনে নিয়েছিলেন। তার ঠিক এক বছর পর ফের একই জিনিস করেন সলমন। এমনকি এও বলেন যে হিমেশ গান চুরি করেন। যার প্রতিক্রিয়ায় কিছু না বললেও বিরক্তিভাব স্পষ্ট প্রকাশ পেয়েছে হিমেশের চোখেমুখে। পরবর্তী সময়ে একটি সাক্ষাৎকারে তার কাছে জানতে চাওয়া হয় তিনি কোন অভিনেতাকে অনুসরণ করেন। যার উত্তরে হিমেশ বলেন অক্ষয় কুমার।