সম্প্রতি বিভিন্ন চিকিৎসক বিভিন্ন হাসপাতালে উঠেছে বহু অমানবিকতার ছবি। বর্তমানে বহু বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে উঠেছে অতিরিক্ত বিল নেওয়ার অভিযোগ। তবে, অনেকেই চিকিৎসককে ভগবানের আরেক রূপ বলে মনে করেন। কারণ চিকিৎসক মুমূর্ষু রোগীকে চিকিৎসা করে নতুন জন্ম দেয়। আর এবার খোঁজ মিলল সেরকমই এক ভগবানের সমতুল্য চিকিৎসকের। যার কাছে বেতন নয় চিকিৎসায় মূল আদর্শ।
বোলপুরের বাসিন্দা চিকিৎসক সুশোভন বন্দ্যোপাধ্যায় ১৯৬২ সালে তিনি এম.বি.বি.এস পাশ করে, ১৯৬৯ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হেমাটোলজিস্ট গোল্ড মেডেলিস্ট। বর্তমানে তিনি মানুষের কাছে চিকিৎসক নন বরং ভগবান। কারণ তিনি চিকিৎসক হওয়া সত্ত্বেও প্রতিটা মানুষের কাছ থেকে পারিশ্রমিক হিসেবে নেন মাত্র এক টাকা। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছেন এই চিকিৎসক। চিকিৎসকের কথা জানতেই সকলেই জয়জয়কার করছে তার।
দূরদূরান্ত থেকে বহু আরোগ্য ব্যাধি নিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রোগীরা হাজির হয় ডঃ সুশোভন বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। অনেকেই তাঁকে ধন্বন্তরি বলেন। চিকিৎসককে দেখাতে আসা প্রত্যেকটি রোগী মনে করেন যে তাকে দেখালেই সুস্থ হয়ে উঠবেন তারা।কারণ তিনি চিকিৎসক নন তিনি ভগবান । ভগবানকে দেখাতে বহু মানুষের ভিড় জমে বোলপুরের হরগৌরী পাড়াতে। উল্লেখ্য, চিকিৎসকের জীবনকাহিনী থেকে জানা যায় একদিন সাইকেল করে বেরিয়েছিলেন চিকিৎসা করতে। কিন্তু রাস্তায় দেখতে পান একটি মানুষ গামছা পড়ে বসে আছেন তখন থেকে গরিব মানুষের চিকিৎসা করায় অনুপ্রাণিত হয় তিনি।
উল্লেখ্য, বর্তমানে চিকিৎসক সুশোভন বন্দ্যোপাধ্যায় বোলপুর বাস করেন। তার স্ত্রী ছায়া বন্দ্যোপাধ্যায় গৃহবধূ। কিন্তু ওই চিকিৎসকের মেয়ে জামাই দুজনেই চিকিৎসক। তার বাবা পেশায় ছিলেন একজন গোয়েন্দা। তার মা মনিমালা বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন একজন গৃহবধূ। তবে বর্তমানের হাজার হাজার টাকা বেতন নেওয়া চিকিৎসকদের মধ্যে থেকে মাত্র এক টাকা বেতন নেওয়া এই চিকিৎসক এক দৃষ্টান্ত। চিকিৎসকের এই দায়িত্ব-কর্তব্যের জন্য গিনিসবুকে নাম উঠতে চলেছে ওই তার।