এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছিল, গালওয়ান নদীর তীরে প্রচুর চিনা সেনা মোতায়েন রয়েছে। এটি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে মাত্র পাঁচ কিমি দূরে। গত ১৫ ই জুন ভারত- চীন রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর দুই দেশের সেনার বৈঠক করে সমঝোতার কথা হয়েছে। তাতে কিছু সুফল মেলেনি। এরপর ভারত, চীনকে ঘায়েল করতে একাধিক কূটনৈতিক চাল চেলেছে। এত কিছুর পরেও চীন সেনা প্রত্যাহারের বিন্দুমাত্র আগ্রহ দেখায়নি।
কিন্তু এবার পরিস্থিতি এমন রূপ নিয়েছে না চাইতেই চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি কে তাদের সেনা সরাতে হচ্ছে গালওয়ান নদীর ধার থেকে। এর কারণ হল বন্যা। গত কয়েক দিন ধরেই গালওয়ান নদীর জল ফুঁসছে। যার কারণে গালওয়ান নদীর ধারে চীনের লাল ফৌজের সেনা ছাউনি ভেসে যাওয়ার সম্ভাবনা। এই জন্যই না চাইতেই সেনা পেছোতে বাধ্য হচ্ছে বেজিং। একেই বলে প্রকৃতির মার। এই নদীটি বরফগলা জলে পুষ্ট। তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় বরফ গলে গালওয়ান নদীর জল তর তরিয়ে বাড়ছে।
গত ১ লা জুন ভারত ও চীনের ক্রপ কম্যান্ডার পর্যায়ের দীর্ঘ ১২ ঘণ্টা বৈঠকের পরেও চীন গালওয়ান এবং প্যাংগং লেক সীমান্ত থেকে সেনা সরানোই রাজি হয়নি। গালওয়ান নদীর জল যেভাবে হু হু করে বাড়ছে এবারে হয়তো ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও সেনা প্রত্যাহারে বাধ্য হবে বেজিং, এমনটাই মনে করা হচ্ছে।