নদীয়া সংবাদনিউজরাজ্য

দীর্ঘ ৪ বছর ধরে বেতন না পেয়ে আন্দোলনে নামলেন নদীয়ার শিশু শ্রমিক স্কুলের শিক্ষকরা

করোনা পরিস্থিতি শুরুর আগে থেকেই অনেক কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি সরকার পোষিত শ্রমিক স্কুলের শিক্ষক ও কর্মচারীরা।

Advertisement
Advertisement

মলয় দে নদীয়া:- করোনা আবহের মাঝেই পূজা আসছে! .বাড়ির ছোটদের কথা ভেবে পূজার শপিং শুরু করেছেন অনেকেই। গ‍রীব, বড়লোক সবাই নিজের সাধ‍্যমতো চেষ্টা করছেন পূজার আগে বাড়ির ছোটদের ও অনান‍্যদের মুখে হাসি ফোটাতে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি শুরুর আগে থেকেই অনেক কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি সরকার পোষিত শ্রমিক স্কুলের শিক্ষক ও কর্মচারীরা।

দীর্ঘ ৪৮ মাস বেতন না পেয়ে পথে আসার যোগাড় তাদের‌। চুক্তিভিত্তিক এই শিক্ষকরা নামমাত্র পারিশ্রমিকে কাজ করেন শ্রমিক স্কুলে সেখানে প্রায় পঞ্চাশ মাস বেতন না পেয়ে পূজার কেনাকাটা তো দুরহস্ত নিজের ও পরিবারের পেট চালাবেন কি করে সেই চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন এরা। যে সকল শিশুরা পেটের দায়ে ছোটবেলা থেকে পড়াশুনা ছেড়ে কাজে নেমে পড়েছিলো তাদেরকে আবার মূল স্রোত অর্থাৎ শিক্ষার আলোয় নিয়ে আসার জন‍্যই সর্বশিক্ষা মিশনের অন্তর্গত এই শ্রমিক স্কুল চালু করেছিলো কেন্দ্রীয় সরকার।

এনজিও এর মাধ্যমে এই স্কুলগুলি পরিচালিত হয় তত্বাবধানে থাকে জেলা প্রশাসন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল যে এতে শিশু শ্রমিকরা স্কুলে ঠিকমত শিক্ষা ও খাবার না পেয়ে পেটের দায়ে আবার শ্রমজীবী হিসাবে ফিরে যাচ্ছে শিশুরা।সমাজের বাস্তবিক ভারসাম্য আবার নষ্ট হবার পথে। নদীয়া ছাড়া অনান‍্য জেলার শ্রমিক স্কুলে বেতন ও অনান‍্য ভাতা সঠিক সময়ে পেয়ে যাচ্ছেন সেখানকার শিক্ষক ও স্কুল কর্মচারীরা।

এই বিষয় নিয়ে আজ নদীয়া জেলার ৮৫ টি এ ধরনের বিদ্যালয় থেকে জেলাশাসকের অফিসের সামনে বিক্ষোভ অবস্থানে বসেন শিক্ষকরা এবং পরে ডেপুটেশন জমা দেন জেলাশাসকের কাছে।যতক্ষণ পর্যন্ত তারা মাহিনা না পাবেন ততক্ষণ পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষকরা।

তারা অভিযোগ করেন শিক্ষা গ্রহণের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের শ্রম দপ্তর থেকে পূর্বে দেড়শ টাকা বর্তমানে তা ৪০০ টাকা প্রতি মাসে, মিড ডে মিলের বরাদ্দ, স্কুল ইউনিফর্ম ব্যাগ সরকারি শংসাপত্র খেলার সামগ্রী, শিক্ষক এবং শিক্ষা কর্মীদের সাম্মানিক কিছু অর্থ বরাদ্দ থাকলেও জেলা এন সি পি এল এর ইউ সি সার্টিফিকেট না পাওয়ায় বরাদ্দকৃত অর্থ ফেরত যায় প্রতি বছরই। তবে এ বিষয়ে মুখে কুলুপ এটেছেন জেলার প্রশাসনিক আধিকারিকরা।

Related Articles