রাজ্য বিজেপির তরফে এবার মুখ খুললেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বললেন, “দরজা খোলা আছে, কিন্তু সেটা বেশিদিন খোলা রাখা সম্ভব হবে না। আমরা সবাইকে দলে নেবো না। তাদেরকেই নেওয়া হবে যারা সমাজের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য। রাজ্যের স্বার্থে, সমাজের স্বার্থে, মানুষের স্বার্থে যারা বিজেপিতে আসতে চায় তাদের সবাইকে স্বাগতম। যারা সমাজের কাছে উপযোগী এবং গ্রহণযোগ্য তাদেরকেও স্বাগত। কিন্তু তাই বলে যাকে তাকে গ্রহণযোগ্যতা দেওয়া হবে না।”
বিধানসভা ভোটের মুখে যেন তৃণমূল ত্যাগের হিড়িক লেগেছিল। দলে দলে ঢেউয়ের মতো তৃণমূল ত্যাগ করে বিজেপিতে আসতে শুরু করেছিলেন নেতারা। কিন্তু সবাইকেই কি দলে নেওয়া হবে? প্রশ্ন রেখেছিলেন বিজেপি নেতাদের একাংশ। অমিত শাহের অফিস থেকে নোটিশ আসার পরেও যখন পরিস্থিতি বদলাল না, তখনই এ বিষয়ে লাগাম টানার কথা বললেন দিলীপ ঘোষ।
এমনকি লোকসভা ভোটের আগে যারা প্রথম সারিতে ছিলেন সেই সায়ন্তন বসু, রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত নেতারা পর্যন্ত এ বিষয়ে মন্তব্য করতে শুরু করলেন। কাজেই বাধ্য হয়ে রাজ্য বিজেপিকে শোকজের রাস্তা ধরতে হলো। সায়ন্তন বসু,অগ্নিমিত্রা পলের মত নেতা-নেত্রীরা শোকজের বার্তা পেলেন। গতকাল দিল্লিতে বৈঠক বসে বিজেপির হেভিওয়েট নেতা নেত্রীদের।
অমিত শাহের বাড়িতে কৈলাস বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায়, দিলীপ ঘোষ প্রমুখ এ বৈঠকে যোগদান করেন। বৈঠকে এই সমস্যাটি তুলে ধরা হয় যে তৃণমূল থেকে যোগদান করছেন বহু লোক। এতে দলের সাংগঠনিক শক্তি বাড়লেও ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। কাজেই এ প্রসঙ্গে রাশ টানা প্রয়োজন। চলে আসতে চাইলেই নেওয়া হবে না। প্রথমে তার ভাবমূর্তি খতিয়ে দেখা হবে এবং তারপর সে সমাজের কাছে, মানুষের কাছে গ্রহনযোগ্য কিনা তা বিচার করেই তাকে দলে নেওয়া হবে বলে জানালেন দিলীপ ঘোষ।