শক্তি বাড়িয়েছে ভারত। ইতিমধ্যেই যুদ্ধবিমান রাফাল এসে পৌঁছেছে ভারতের মাটিতে। রাফাল তেজে জ্বলজ্বল করছে ভারত। অন্যদিকে অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে দুই দেশ। পা কাঁপছে দুই পড়শী দেশ চিন ও পাকিস্তানের। রাফালের চিন্তায় এক প্রকার কপালে ভাঁজ পড়েছে দুই দেশের।
পাঁচটি ফরাসি যুদ্ধবিমান রাফালকে দেখে হিংসায় ফুঁসছে চিন ও পাকিস্থান। এয়ারবেসে রাফালে নামার সঙ্গে সঙ্গেই চিন আর পাকিস্তানের সঙ্গে স্নায়ুযুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে ভারতের। পাকিস্তান ইতিমধ্যেই অসহায় বোধ করছে। অসহায় বোধ থেকে আন্তর্জাতিক মহলের কাছে ভারতের সম্পর্কে নালিশও করেছে ওই দেশ। পাকিস্তানের দাবি,ভারত অযথা ও অসঙ্গতিপূর্ণভাবে অস্ত্র মজুত করছে। অন্যদিকে, চিন মনে করছে ভারত আগ্রাসী হয়ে উঠেছে। বর্তমানের রাফাল নিয়ে দুই দেশের মধ্যে তরজা তুঙ্গে।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে প্রাক্তন এয়ার চিফ মার্শাল ধানোয়া দুই দেশের রাফাল কে ভয় পাওয়ার কারণ জানান তিনি। তিনি বলেন ,’পূর্ব লাদাখে চিন আগ্রাসন চালালে রাফালে যুদ্ধের পরিণতি নির্ণয় করে দিতে সক্ষম। চিনের তৈরি অত্যাধুনিক পঞ্চম জেনারেশন J-20 যুদ্ধবিমান রাফালের সামনে শিশু। চিনের J-20 যুদ্ধবিমানগুলি আধুনিক। তবে, রাফালে ও সুখোইয়ের মাধ্যমে ভারত খুব সহজেই তার মোকাবিলা করতে পারবে’। তাঁর মতে, ‘বিমানবাহিনী যদি প্রতিপক্ষের বায়ুর প্রতিরোধ ভেঙে দেয় তাহলে চিনা সেনা হোতান ও লাসায় থাকবে। তাদের সহজেই নিশানা করা যাবে। হোতানে ৭০টি ও লাসায় ২৬টি বিমান মোতায়েন করেছে লালফৌজ’।
অন্যদিকে চিন্তায় ভুগছে চিনও। চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্রর দাবি, ‘চিন আশা করে, ভারতের প্রাসঙ্গিক লোকজন এধরনের কথাবার্তা বলার আগে আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখার স্বার্থ মাথায় রাখবেন অবশ্যই’। পাক বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র আয়েশা ফারুকির পাল্টা অভিযোগ, ‘আন্তর্জাতিক মহলের কাছে আবেদন ভারতকে যেন এভাবে অস্ত্রভাণ্ডার মজুত করা থেকে নিরস্ত করা হয়। কারন অকারণে অসঙ্গতিপূর্ণ ভাবে অস্ত্র মজুত করতে শুরু করেছে ভারত। দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তির ভারসাম্য এতে নষ্ট হতে পারে’। তার আরও দাবি ‘ নিজেদের নিরাপত্তার জন্য যতখানি প্রয়োজন তার থেকে কয়েকগুন বেশি অস্ত্র মজুদ রাখছে ভারত’।