দেশনিউজবিনোদন
Trending

সুশান্তের মামলায় বড় সাফল্য, দু’জন রাজসাক্ষীকে খুঁজে পেল CBI

Advertisement
Advertisement

যত দিন যাচ্ছে ততই রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে সুশান্ত মৃত্যুকাণ্ডে। প্রতিদিন নিত্যনতুন তথ্য উঠে আসছে অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু তদন্তে। ইতিমধ্যেই অভিনেতার মৃত্যুর রহস্য ভেদ করতে ময়দানে নেমেছে সিবিআই। ময়দানে নেমেই বড় সাফল্য সিবিআইয়ের। সুশান্ত মামলায় রাজসাক্ষী হতে চায় ২ প্রত্যক্ষদর্শী সিদ্ধার্থ পিঠানি ও দীপেশ সাওয়ান্ত।

গত ১৪ জুন অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের নিজের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছিল তার নিথর দেহ। যদিও পুলিশ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলেছিল আত্মহত্যা করেছেন অভিনেতা। কিন্তু তা মানতে নারাজ অভিনেতার বাবা ও পরিজনরা। অভিনেতার মৃত্যুর জন্য তার বাবা আঙ্গুল তুলেছিলেন সুশান্তের বান্ধবী অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। শুধু আঙ্গুলই নয় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন অভিনেতার বাবা। এরপরেই একাধিকবার রিয়াকে জেরা করা হয়। তারই মাঝে সুপ্রিম কোর্ট সুশান্ত মামলার তদন্ত ভার দিয়েছে সিবিআইকে। এরই মাঝে শুক্রবার একদিকে যখন সুশান্ত মৃত্যুর মূল কান্ডারী রিয়া চক্রবর্তীকে জেরা করছে সিবিআই, তখন অন্যদিকে সুশান্তের দুই ঘনিষ্ঠ, বন্ধু সিদ্ধার্থ পিঠানি এবং বাড়ির কেয়ারটেকার দীপেশ সাওয়ান্ত জানিয়ে দেন তাঁরা এই মামলায় রাজসাক্ষী হতে চান।

পরোতে পরোতে রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে সুশান্ত মৃত্যু কাণ্ডে। সুশান্ত মৃত্যুকাণ্ডের মূল চার প্রত্যক্ষদর্শী অভিনেতার বন্ধু সিদ্ধার্থ পিঠানি, পরিচারক নীরজ ও দীপেশ সাওয়ান্ত এবং রাঁধুনি কেশব। তাঁদের চারজনকে ফের একবার মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করে সিবিআই। সিবিআই সূত্রে খবর, জেরায় অবশেষে মুখ খুলেছে তারা। এই চারজন মূল সাক্ষী জানিয়েছেন, ‘ গত ১৪ জুন অর্থাৎ যেদিন সুশান্তের মারা যাওয়ার খবর আসে সেদিন সকালে তাঁরাই প্রথম বান্দ্রার ফ্ল্যাটে নিজের ঘরে মৃত অবস্থায় সুশান্তকে দেখেন। বয়ানে চারজনই দাবি করেছেন, ‘১৩ জুন অর্থাৎ মৃত্যুর আগের দিন রাতে বেশিরভাগ সময় নিজের ঘরেই ছিলেন সুশান্ত সিং রাজপুত।

সূত্রের খবর, শুক্রবার সিবিআই জেরা চলাকালিন সুশান্তের বন্ধু সিদ্ধার্থ পিঠানি ও বাড়ির কেয়ারটেকার দীপেশ সাওয়ান্ত কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের জানান, তাঁরা রাজসাক্ষী হতে চান। অন্যদিকে জেরায় দীপেশ ও সিদ্ধার্থ পিঠানি জানান, সুশান্তের ঘরের বন্ধ দরজা খুলে তাঁরা দুজনই প্রথম ঢোকেন। কিন্তু ঘরের আলো নেভানো ছিল। তাদের দাবি ‘তারা আলো জ্বালাতেই দেখেন, সিলিং থেকে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছেন সুশান্ত’।

Web Desk

We belong to that group who are addicted to journalism. Behind us, there is no big business organization to support us. Our pens do not flow under any other’s commands.

Related Articles