আগামী জুলাই মাস থেকে গোটা দেশের জোন ভিত্তিতে ধাপে ধাপে স্কুল খোলার চিন্তা কেন্দ্রীয় সরকারের। এই নিয়ম অনুযায়ী সবার আগে স্কুল খুলবে গ্রিন জোন এবং অরেঞ্জ জোনে৷ তবে স্কুল খুললেও থাকবে বেশ কিছু বিধিনিষেধ। কেন্দ্রে থেকে প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, মাত্র ৩০ শতাংশ উপস্থিতি নিয়েই চলবে ক্লাস এবং অষ্টম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা শুধুমাত্র স্কুলে আসার অনুমতি পাবে৷ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে আংশিক ভাবে ক্লাসে হাজিরা দিতে হবে উঁচু ক্লাসের পড়ুয়াদের। নিচু ক্লাসের পড়ুয়া যারা রয়েছে তারা সঠিকভাবে লকডাউনের মেনে চলতে পারবে না এবং তারা নিজেদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা সম্পর্কে সঠিকভাবে অবগত নয়। তাই সে ক্ষেত্রে তাদের আপাতত বাড়িতে থেকেই পড়াশোনা চালাতে হবে। স্কুল খোলার পর কেন্দ্রের নির্দেশ অনুযায়ী ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাতে পারবেন অভিভাবকরা। স্কুল খোলার পর যাবতীয় নিয়মকানুনের তালিকা চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে প্রকাশিত হবে বলে জানা গিয়েছে।
লকডাউন চালু হওয়ার আগে অর্থাৎ ১৬ ই মার্চ থেকে বন্ধ হয়ে গেছে দেশের সমস্ত স্কুল। প্রায় ২ মাস ধরে বন্ধ আছে স্কুল গুলি। কেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকগুলি সহমত হলেই তারপরে খুলবে স্কুল, এমনটাই জানা গিয়েছে। কিছুদিন আগে কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী রমেশ পোখারিয়াল এই বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তিনি গত ১৪ ই মে টুইটারে লাইভে এসে বলেন, “স্কুল খুললেও সেখানে দিনে ৩০ শতাংশের বেশি ছাত্রছাত্রীকে স্কুলে আসার অনুমতি দেওয়া হবে না। অল্টারনেটিভ রুল মেনটেন করে আসতে হবে তাদের। এছাড়া ক্লাসরুমে সোশ্যাল ডিস্ট্যান্স থাকবে বাধ্যতামূলক। এই বিষয়গুলোকে কিভাবে কার্যকর করা সম্ভব হবে সেই নিয়ে চিন্তা করছে কেন্দ্র”। সম্প্রতি স্কুল খোলার বিষয়ে নির্দিষ্ট গাইডলাইন তৈরি করছে NCERT৷
এ গাইডলাইনে বলা হয়েছে- ১. স্কুলে আসা সমস্ত শিক্ষক শিক্ষিকাদের মাস্ক এবং গ্লাভস পরা বাধ্যতামূলক থাকবে, ২. প্রতিটি স্কুলে থাকবে থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা, ৩. একটি বেঞ্চে দুজন পড়ুয়া কেবল বসতে পারবে, ৪. প্রতিটি স্কুলের বিভিন্ন জায়গায় লকডাউনের নিয়ম এবং করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে লেখার ব্যবস্থা করতে হবে, ৫. সমস্ত নিয়ম সঠিকভাবে পালন করা হচ্ছে কিনা তার জন্য সিসিটিভি মাধ্যমে তার উপর কড়া নজরদারি রাখতে হবে।