আন্তর্জাতিকনিউজ

বিশ্বের ইতিহাসে এক ভুতুড়ে গাড়ি, বিভিন্ন ভাবে প্রাণ কেড়েছে বহু মানুষের

Advertisement
Advertisement

ভূত এই বিষয়টি এখনো রহস্যেঘেরা। কেউ বিশ্বাস করেন কেউ বা না আর এই তর্ক বিতর্ক বহুযুগ ধরে চলে আসছে। কিন্তু বিজ্ঞানীরাও আত্মার অস্তিত্ব মেনে নিয়েছে তারা মনে করেন কিছু নেগেটিভ এনার্জি রয়েছে আর এই নিয়ে এখনো চলে বিস্তর গবেষনা। আজ এমন একটা ঘটনা শুনবো যা আপনাকে বিশ্বাস করাবে যে কিছু একটা রয়েছে। এটি একটি ভৌতিক গাড়ির কথা যাকে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের জন্য দায়ী করে অনেকেই। সেই যুদ্ধে নিহতদের কথা বাদ দিলেও অসংখ্য মানুষের মৃত্যুর কারণ ঘটিয়েছে এ গাড়ি।

গাড়িটি নির্মাণ করা হয়েছিল অস্ট্রিয়ার যুবরাজ আক উয়ুক ফার্দিনান্দ এর জন্য। এটা ব্যবহারের প্রথম দিকে তিনি ও তার স্ত্রী নিহত হয়। এই কারণে 1914 সালের 28 জুলাই সাবিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে অস্ট্রিয়া। এরপর ওখানের সেনা অধিনায়ক এই গাড়িটি কিনে নেন দুর্ভাগ্যবশত তিনি যুদ্ধে পরাজিত হন ও মৃত্যুবরণ করেন। এরপর গাড়িটি আসে এক মোটর মেকানিকের কাছে তিনি গাড়িটিকে নতুন করে তোলেন এবং ধনী কৃষকের কাছে বেচে দেন। সারায়েভো শহরে যেদিন প্রথম প্রবেশ করল গাড়িটি সেদিন শুরু হলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। সবাই বুঝে নিল অভিশপ্ত ভৌতিক ওই গাড়িটির জন্য শুরু হয়েছে এটা আর তার প্রতিবাদে জেলা প্রশাসক আদেশ করলেন হয় শহর ত্যাগ করতে হবে না হলে গাড়ি।

শহর ত্যাগ করে অন্য শহরে রওনা দিতে মাঝরাস্তায় বিগড়ে যায় গাড়িটি। উপায় না দেখে বলদ গাড়ির সাথে জুড়ে দিলেন আর বসলেন বনেটের উপর কিছুদূর এগুতেই গাড়িটি হঠাৎ স্টার্ট হয় এবং মুহূর্তে বলদ দুটোকে ধাক্কা দিয়ে বনেটের উপর বসে থাকা মানুষটিকে পিষে ফেলে। 1939 গাড়িটি কেনেন হসফিল্ট‌। একদিন এক্সিডেন্টে তিনিসহ আরও 6 জনের মৃত্যু হয় ওই গাড়ির জন্য। এরপর অস্ট্রিয়া গাড়িটি কিনে রাখার ব্যবস্থা করে কিন্তু বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন 1945 সালের 22 জুলাই বোমা পরলে গাড়িসহ পুরো মিউজিয়াম পুড়ে যায়।

Web Desk

We belong to that group who are addicted to journalism. Behind us, there is no big business organization to support us. Our pens do not flow under any other’s commands.

Related Articles