বর্ষার দিনে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো ডেঙ্গু মশার উপদ্রব। এই সমস্যা দূরীকরণের একটি উপায় বের করেছেন প্রাক্তন পৌর কর্তা বাপি ঘোষ। তিনি প্রাক্তন হয়ে গেলেও নিজের কাজ দায়িত্ব সহকারে পালন করে চলেছেন। করোনা লকডাউন এর কারণে গাপ্পি মাছ চাষিরা বিপদের মুখে রয়েছে। এছাড়া মাছের খাবারের অভাবের কারণে মাছও বিপদের মুখে রয়েছে। প্রাক্তন কাউন্সিলর বাপি ঘোষ মানুষ এবং মাছেদের বাঁচানোর একটি উপায় বলেন। প্রায় দু’লক্ষ গাপ্পি মাছ তিনি কলকাতা পুরসভার হাতে তুলে দেন।
তিনি বলেন যে গাপ্পি মাছ ডেঙ্গু মশার লার্ভা খেয়ে ডেঙ্গুর সমস্যা দূর করবে এবং তাদের নিজেদের খাবারেরও যোগান হবে। তিনি এবং তার অনুগামীরা এই উদ্যোগকে সফল করতে শহরের পথে নেমে যান। করোনাকে উপেক্ষা করে তিনি শহরের পথে নেমে যান ডেঙ্গুর সমস্যা দূর করতে। এই দু লক্ষ গাপ্পি মাছ দিতে তাকে সাহায্য করেন বাগবাজার শখের হাটের 150 জন মাছ চাষী। জানা গেছে যে মাছগুলি দীর্ঘদিন ধরে থাকার কারণে নষ্ট হয়ে যেত তাই মানুষকে রক্ষার স্বার্থে মাছগুলিকে তারা দান করেন।
বাপি ঘোষ জানান যে এই মাছ গুলি তিনি যখনই পান তখনই তিনি পুরসভাকে দান করেন। করোনার কারণে সবাই খুব চিন্তিত তার ওপরে আবার এই ডেঙ্গুর সমস্যা। বাপি বাবু মনে করেন ডেঙ্গু দূরীকরণে কামানের চেয়ে গাপ্পি মাছই শ্রেয় উপায়। গাপ্পি মাছ ডেঙ্গুর লার্ভা কে গিলে নেয়। তাই বাপি বাবু এই গাপ্পি মাছ গুলি তুলে দেন মেয়র এর হাতে সকল ওয়ার্ড এর জন্য। 144 টি ওয়ার্ডের যতগুলি নালা-নর্দমা রয়েছে সে সমস্ত জায়গাতেই ছাড়া হবে এই মাছ গুলি। কোথায় কতটা পরিমাণ এই মাছ ছাড়া হবে তা পৌরসভার স্বাস্থ্য আধিকারিকদের হাতে।