মানুষ যবে থেকে মহাকাশ চিনতে শিখেছে অনন্ত শুন্যে গ্রহ তারা নক্ষত্রের প্রতি আকর্ষণ জন্মেছে। নীল গ্রহ ছেড়ে মন পাড়ি দিয়েছে লালগ্রহের দিকে। সেই আকর্ষণ থেকে চাঁদের পরে মহাকাশ অভিযানের লক্ষ্য হয়েছে মঙ্গল। এবার মঙ্গলকে নিয়ে গবেষণার পথ আরো প্রশস্ত হতে চললো।
সূত্রে খবর সম্প্রতি লাল গ্রহ মঙ্গলের বুকে নামতে চলেছে নাসার মহাকাশযান রোভার। আর এই ঘটনা ঘটতে চলেছে এক বাঙালির হাত ধরে। বর্ধমানের ছেলে সৌম্য দত্তের বানানো সুবিশাল প্যারাসুটের চড়েই মঙ্গলে অবতরণ করবে মার্স 2020 রোভার। তার বানানো এই প্যারাসুট এখনো পর্যন্ত মঙ্গলে পাঠানো সবচেয়ে বড় প্যারাসুট হতে চলেছে। 15 জন মানুষ একে অপরের কাঁধে চাপলে যতখানি উচু হবে প্রায় ততটা প্যারাসুটের উচ্চতা।
কিন্তু এত বড় প্যারাসুট এর প্রয়োজনীয়তা কি? ভার্জিনিয়ার নাসার ল্যাঙলি রিসার্চ সেন্টারের এরোস্পেস ইঞ্জিনিয়ার সৌম্য, আনন্দবাজার ডিজিটাল কে জানিয়েছেন, এর বিশেষ কারণ হলো এবার ল্যান্ডার ও রোভারকে মঙ্গলের মাটিতে নামাতে লালগ্রহের কক্ষপথে কোন অরবিটার প্রদক্ষিণ করবে না। সরাসরি মঙ্গলের কক্ষপথে ঢুকে দ্রুত নামতে শুরু করবে লালগ্রহে। মনে করা হচ্ছে 2020 এর মার্চেই ল্যান্ডার ও রোভার মঙ্গলের কক্ষপথ স্পর্শ করবে।
মঙ্গলের সারফেস থেকে যখন রকেটের উচ্চতা ১২৫ কিলোমিটার থাকবে তখন রকেটের গতিবেগ হবে সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার। এই সময় যাতে কোনো রকম দুর্ঘটনা না ঘটে তার জন্য বিশেষ ধরনের হিটশিল্ড বানানো হয়েছে।
সৌম্যর বক্তব্য নামার সময় ল্যান্ডার ও রোভারের গতিবেগ থাকবে শব্দের গতিবেগ এর প্রায় দ্বিগুণ। এই গতিবেগ কমিয়ে এনে ধীরে ধীরে নিরাপদে লালগ্রহে ল্যান্ডার ও রোভারের অবতরণের জন্য সর্বাধুনিক প্যারাসুট প্রয়োজন। আর এই প্যারাসুট খুলতে সময় নেবে মাত্র 1-2 সেকেন্ড। ওই প্যারাসুট খোলার সময় এই রাডারের ক্যামেরা অবতরণের উপযুক্ত স্থান খুঁজে নেবে। মঙ্গল অভিযানের সাথে এবার নাম জড়িয়ে গেল বর্ধমানের নাম। বাঙালি তথা ভারতীয় হিসাবে গর্বিত হলাম আমরা সকলে।