ফের ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো দ্বীপ এলাকা। ন্যাশনাল সেন্টার অফ সিসমোলজি জানিয়েছে সকাল ৮ টা ২০ মিনিটে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে এবং এই ভূমিকম্পের তীব্রতা রিখটার স্কেলে ৭.২। পাপুয়া নিউ গিনি থেকে ১৭৪ কিমি উত্তর এবং উত্তরপূর্বে ওয়াও দ্বীপপুঞ্জ এলাকায় এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে।
যদিও এখনও পর্যন্ত সেরকম কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি কিন্তু ভূমিকম্পের তীব্রতা এতটাই ছিল যে ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। সুনামির আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। যার জন্য ইতিমধ্যেই জারি করা হয়েছে সুনামি সতর্কতা। চলতি মাসের ১৩ তারিখে চীনের তাংশান শহর ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠছিল। রিখটার স্কেলে এর তীব্রতা ছিল ৫.১। বিজ্ঞানীদের মতে, ১৯৭৬ সালে তাংশানে ৭.৮ তীব্রতার যে ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল, এটিকে তার আফটার শক বলা যেতে পারে।
ভুবিজ্ঞানিরা আশঙ্কা করছে যে আবারো ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পে কেপে উঠবে ওই এলাকা। ওই ক্ষেত্রে ভূমিকম্পের তীব্রতার মাত্রা থাকবে ৫ এর কাছাকাছি। এই ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল রয়েছে তাংশানের সেই ভূমিকম্পের আফটার শক জোনের মধ্যে, এমনটাই জানা গেছে। কিন্তু কেন্দ্র এই ভূমিকম্পকে একটি সাধারণ ভূমিকম্প বলেই দাবি করছে।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, এই এলাকায় ১৯৭৬ সালের পর ৪ ম্যাগনিটিউড-এর বেশি তীব্রতা সম্পন্ন ভূমিকম্প হয়েছে ৩৩২ বার। এছাড়া রবিবারের ভূমিকম্প মিলিয়ে ৫ ম্যাগনিটিউড-এর বেশি তীব্রতা সম্পন্ন ভূমিকম্প হয়েছে ৫ বার। আরও জানা গিয়েছে ১৯৭৬ সালের ২৮ জুলাই পরপর ৭ ম্যাগনিটিউডের থেকেও বেশি যে ভূমিকম্প হয়েছিল তার জেরে প্রায় আড়াই লাখের কাছাকাছি মানুষ মারা গিয়েছিল।