প্রীতম দাস : করোনা ভাইরাসের প্রভাবে বিশ্বের তাবড় তাবড় দেশের বিজ্ঞানী ও চিকিৎসকদের রাতের ঘুম উড়ে গেছে। ইতালি ও আমেরিকায় মৃত্যুর সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। বিশ্বের 202 টি দেশে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। এমতাবস্তায় বিশ্বের সমস্ত মানুষদের এখন মনে একটাই প্রশ্ন কবে আসবে করোনা টিকা ? কারণ করোনা ভাইরাসের এখনো অব্দি কোন নির্দিষ্ট ওষুধ বা ভ্যাকসিন আবিষ্কৃত হয়নি যার দরুন এই ভাইরাসকে আটকানো একটা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে সবার কাছে। তবে বিজ্ঞানী ও ভাইরোলজিস্ট দের একটা বড় অংশ এখনো পর্যন্ত অন্ধকারে নিমজ্জিত রয়েছেন কারণ এই ভাইরাসের পর্যাপ্ত তথ্য তাদের কাছে নেই।
বিজ্ঞানী মহলের একাংশের দাবি এই ভাইরাসকে রক্ষার জন্য এখন অব্দি প্রায় 9 থেকে 10 মাস , আবার এর বেশি সময় লাগতে পারে। সব থেকে বড় ব্যাপার হলো এই ভাইরাস আচমকা সারা পৃথিবীর বুকে হানা দিয়েছে। কোন ভাইরাসের ওষুধ বা টিকা আবিষ্কার করতে ও তারপর সেটিকে বাজারে আনতে যে সময় লাগে সেই সময়টা হাতে পায়নি বিজ্ঞানীমহল কারণ কোন ভাইরাসের টিকা ওষুধ আবিষ্কার করতে হলে আগে ভাইরাসটি সম্বন্ধে ভালো করে বুঝতে হয়।
এই ভয়ঙ্কর ভাইরাস থেকে চীনে বুঝে উঠতে তিন মাস সময় পেয়েছে বিজ্ঞানীরা যা মোটেই পর্যাপ্ত সময় হিসেবে গণ্য করা যায় না। সব থেকে বড় ব্যাপার হল এই ভাইরাস এই অল্প সময়ের মধ্যে বেশ কয়েকবার নিজেদের জিন শৃংখল , আচার-আচরণ বদলেছে। যার জন্য এই ভাইরাসকে বুঝে উঠতে আরো বেশি সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে।
মোহালির ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স এডুকেশন এন্ড রিসার্চ প্রতিষ্ঠান মলিকিউলার বায়োলজি অধ্যাপক ইন্দ্রনীল বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন , দেশের জনসংখ্যা , ঘনত্ব , গড় তাপমাত্রা ইত্যাদি অনেক কিছু বিষয়ের উপর নির্ভর করে বদলে যেতে পারে বিভিন্ন রোগীর দেহে থাকা করনা ভাইরাসের ইনকিউবেশন পিরিয়ডের মেয়াদ। কারো ক্ষেত্রে সেই মেয়াদ 2 থেকে 4 দিন হতে পারে আবার কারো ক্ষেত্রে সেই মেয়াদ 7 থেকে 15 দিন হতে পারে। আবার কারো ক্ষেত্রে সেই মেয়াদ 1 মাস পর্যন্ত বর্ধিত হতে পারে। তাই এমন ধরনের ভয়ঙ্কর ভাইরাসের টিকা আসতে কত দিন সময় লাগবে তার পূর্বাভাস দিতে পারছেন না বিজ্ঞানী ও চিকিৎসকদের একাংশ।