দেশজুড়ে করোনা সংক্রমণ মাত্রাছাড়া রূপ নিয়েছে। প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। তার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। করোনায় আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে বিশ্বের প্রথম দশ দেশের মধ্যে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। এই পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার প্রটেম স্পিকার ওরফে বিজেপি নেতা রামেশ্বর শর্মা বলেন, অযোধ্যায় রামমন্দিরের কাজ শুরু হলেই করোনা ভাইরাসের দমন হবে। ভারতীয় জনতা পার্টির নেতারা যে কতটা রাম ভক্ত তা তাদের স্লোগান দেখলেই বোঝা যায়। এই পার্টির এখন প্রধান স্লোগানই হয়ে দাঁড়িয়েছে জয় শ্রী রাম।
রামেশ্বর বাবু বলেন,‘ শুধু আমাদের দেশ নয় গোটা বিশ্ব এখন মারণ করোনা ভাইরাসের কারণে ভুগছে। আমরা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার পাশাপাশি পবিত্র দেবদেবতাদের স্মরণ করছি। সুপ্রিম কোর্টও রামমন্দির তৈরিতে অনুমতি দিয়েছে।’ বিজেপির এই প্রবীণ নেতার দৃঢ় বিশ্বাস যে, অযোধ্যায় রামমন্দিরের নির্মাণকাজ শুরু হলে করোনা মহামারীর হাত থেকে বাঁচবে দেশের মানুষ। বুধবার গ্বালিয়রে এক সাংবাদিক বৈঠকে রামেশ্বর বাবু বলেন,‘ মানবজাতির কল্যাণে এবং রাক্ষসদের বিনাশ করতে ভগবান রামচন্দ্র পুনর্জন্ম নিয়েছিলেন। তাই রাম মন্দিরের কাজ শুরু হলেই দেশ থেকে করোনা মহামারী ধ্বংস হবে।’
করোনা অবহের মধ্যেই আগামী ৫ ই আগস্ট অযোধ্যায় রামমন্দিরের ভূমিপুজো রয়েছে। আর এই ভূমিপুজোর জন্য ৩ ই আগস্ট থেকে শুরু হবে প্রস্তুতি। ভূমিপুজোর দিন প্রধানমন্ত্রী সেখানে যাবেন। নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হবার পর এই প্রথম অযোধ্যায় যাবেন। প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত রয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, RSS-এর প্রধান মোহন ভাগবত, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে-সহ প্রায় তিনশো জনের কাছাকাছি অতিথি।
শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের কোষাধ্যক্ষ স্বামী গোবিন্দ দেব গিরি বুধবার জানিয়েছেন, রামমন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সমস্ত কাজকর্ম করা হবে সামাজিক দূরত্ব মেনেই। সেইমতোই সমস্ত পরিকল্পনা করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ২০০ জনের বেশি সেখানে উপস্থিত থাকবে না।