বিয়ে বলতেই চোখের সামনে ভেসে আসে লাল বেনারসী পড়া টুকটুকে এক কনের সাজ। লাল টিপ, লাল আলতা সবেই যেন লাল রঙের ছোঁয়া। যুগের পর যুগ পেরিয়েছে, সাজের ধরনে আধুনিকতার ছোয়া এসেছে, শাড়ির জায়গা করে নিয়েছে লাহেঙ্গা অথচ বিয়ের দিন শাড়ী বা লাহেঙ্গার রঙ লালই পছন্দ করেন বেশীরভাগ মেয়ে। কিন্তু এ কি কেবল সৌন্দর্য- এর জন্য নাকি এর পিছনেও রয়েছে কোনো কারন?
মনে করা হয় লাল হলো বিপ্লবের প্রতীক আবার ভালোবাসা ও যৌবনের প্রতীকও লাল। শক্তির প্রতীক হোক বা ক্রোধ এর প্রতীকও লাল রঙ। অর্থাৎ অন্যান্য রঙের চেয়ে লাল এর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য বেশি। এই জন্যই এই রং চোখে বেশি লাগে। লাল শাড়ি পড়লে নতুন বউ কেও অপরূপ সুন্দরী লাগে। তেমনি বরের চোখে আসে ভালবাসার নেশা।
অপরদিকে বিয়েতে অন্য কারোর চেয়ে কনের এর ওপর মূল আলো থাকে, সেই এই উৎসবে মূল কেন্দ্রবিন্দু তাকে ঘিরেই সবকিছু। সবার মূল আগ্রহ থাকে কনে দেখার তাই লালরঙের শাড়িতে কনে হয়ে ওঠে বেশী আকর্ষনীয়। বিয়েতে সব মেয়েরাই চায় সবার নজর যেন তার উপরেই থাকে এই কারণে যুগ পাল্টালেও বিয়েতে লাল শাড়ীর কদর ম্লান হয়নি। বেনারসি ছাড়া অন্যান্য শাড়ির বৈচিত্র্য এলেও রঙ হিসাবে পছন্দের শীর্ষস্থানে আছে লালই। এছাড়াও লাল রঙ মানেই কামনা-বাসনা ও ভালোবাসার প্রতীক, আর এই দিনটা ভালোবাসার মানুষকে আপন করে নেওয়ার দিন তাই লালেই পরিপূর্ণতা লাভ করে একটা বিয়ে।