আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষাতেই বর্ষবরণ। অন্যদিকে আর মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষাতাই মা ডাক শুনবেন বিরাট পত্নী। নতুন বছরেই পৃথিবীর আলো দেখবে বিরুষ্কার সন্তান। অন্তঃসত্ত্বা কালীন অবস্থাতে মাতৃত্বের স্বাদ চেটেপুটে নিচ্ছেন অনুষ্কা শর্মা। সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর তাকে কিভাবে মানুষ করবেন তা এখন থেকেই ভাবনা শুরু করে দিয়েছেন বিরাট পত্নী।
২০১৭ সালে ইতালিতে রূপকথার বিয়ে সেরেছিলেন বিরুষ্কা। আর এরই মাঝে ২০২১ সালেই বিরুষ্কা ঘরে আসতে চলেছে তাদের একমাত্র সন্তান। নতুন একটা প্রাণের স্পন্দন প্রতি মুহূর্তে অনুভব করছেন বিরাট ঘরনি। জানুয়ারিতেই পরিবারে আসবে নতুন অতিথি। খুশিতে এখন ঝলমল করছে ভারতীয় ক্রিকেটের ফসৰ্ট লেডি। এই সময়টা যে কোনও মেয়ের কাছেই খুব স্পেশাল। নায়িকাও তার ব্যতিক্রম নয়। বর্তমানে অনুষ্কার বেবি বাম্প একেবারে স্পষ্ট। বেবি বাম্প নিয়ে ইতিমধ্যেই শুটিংয়ের কাজ করছেন অনুষ্কা। এরই মাঝে গর্ভস্থ সন্তান ভূমিষ্ঠ হলে তাকে কিভাবে মানুষ করবেন সেই কথা ভেবে ফেলেছেন অভিনেত্রী।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে কিভাবে তার সন্তানকে মানুষ করবেন সে বিষয়ে মুখ খুললেন অনুষ্কা। হবু মা জানান, অনুষ্কা ও বিরাট কেউই চান না তাদের সন্তান বিগড়ে যাওয়া বাচ্চা হোক। অভিনেত্রী কথায়, তার আর বিরাটের মধ্যে মানুষ হিসেবে বেশ কিছু মিল আছে। অভিনেত্রী প্রগতিশীল একটি পরিবারের মানুষ। তাই সেই অংশগুলি তার সঙ্গে সব সময় থাকবে। ভালোবাসা অভিনেত্রীর পরিবারের সবচেয়ে মূল্যবান জিনিস। আর সবথেকে জরুরি তাদের সন্তান যেন সকলের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়। এই শিক্ষাটা অনুষ্কা তার সন্তানকে দিতে চায়।
এই প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, ‘আমরা চাই না, সন্তান বিগড়ে যাওয়া বাচ্চা হোক’। তবে সন্তান জন্ম নেওয়ার পর তাকে সোশ্যাল মিডিয়ার দূরেই রাখতে চান বিরুষ্কা। অভিনেত্রী এই প্রসঙ্গে জানান, ‘আমরা অনেক ভেবেছি এটা নিয়ে। আমরা কখনওই জনসমক্ষে আমাদের সন্তানকে বড় করতে চাই না। সোশ্যাল মিডিয়ার থেকে দূরে রাখতেই চাই। এছাড়াও দুজনে সমান ভাবে দায়িত্ব ভাগ করে নেবো। আমার মনে হয় না, বাবা ও মায়ের আলাদা আলাদা কর্তব্য হয়। আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ আমাদের সন্তানের একটা ভালো পরিবেশে বেড়ে ওঠা’।