বিনোদন

সোনার ছেলে সুশান্ত সিং, দেশের হয়ে জয় করেছিলেন গোল্ড মেডেল!

Advertisement
Advertisement

34 বছর সুশান্তের জীবনাবসান রবিবার দুপুরে যখন খবরটা ঝড়ের গতিতে ছড়িয়ে পরলো বহু ভারতবাসী ভেতরটা যেন হঠাৎ করে ডুবে গেল অন্ধকারে। সকলের মনে হয়েছিল এ যেন দুঃস্বপ্নের ঘোরে চলেছি। 1986 র 21 জানুয়ারী বিহারের পূর্ণিয়া জন্ম হয়েছিল সুশান্ত। তার এক বোন মিতু সিং রাজ্য পর্যায়ের একজন ক্রিকেটার। 2002 সালে তার মায়ের মৃত্যু তাকে বিধ্বস্ত করা যায় এবং একই বছর তিনি তার পরিবারের সাথে পাটনা থেকে নতুন দিল্লিতে চলে আসেন। সর্বভারতীয় পরীক্ষায় 7th rank করেছিলেন তিনি, পড়তেন দিল্লি টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটিতে।

এখানেই শেষ নয় অংক অলিম্পিয়াডে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করে গোল্ড মেডেল ছিনিয়ে এনেছিলেন। প্রশান্ত পরিবারের সকলে ভেবেছিলেন এই ছেলে নিশ্চয়ই ইঞ্জিনিয়ার বা ডাক্তার হবে। তবে তার স্বপ্ন ছিল রুপালি জগত তাই এরকম ইর্ষনীয় রেজাল্ট থাকা সত্ত্বেও স্বপ্নের দুনিয়ায় বেছে নিয়েছিলেন।
পড়াশোনা করতে করতেই যোগদান শিয়ামাক ডাবারের এর ডান্স ক্লাসে। এরপর নানা কাঠ-খড় পুড়িয়ে লড়াই করে 2005 সালে ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানের ব্যাকগ্রাউন্ড ডান্সার হওয়ার পর শিকে ছিঁড়ল 2008 সালে বালাজি টেলিফ্লিমসের ধারাবাহিকের মাধ্যমে। কাস দেশ মে হ্যায় মেরা দিল দিয়ে বলিউড অভিযান শুরু করলেন। তারপর সুবর্ণ সুযোগ পবিত্র রিস্তার লিড রোল তাকে সেই সিড়ি দিয়ে দেয়।

এরপর নিজেকে তৈরি করে 2013 তে অভিষেক “কাই পো চে” সিনেমা দিয়ে। এরপরের কাহিনীটা সকলের জানা একেক পর এক নতুন স্বাদের ছবি উপহার দিয়েছেন। সরল, সাবলীল অভিনয় মন কেড়েছে সকলের। এক রাজপুতানার যুদ্ধজয়ের কাহিনী।

তবে সেইযুদ্ধ হঠাৎ থামিয়ে দিলেন। নতুনদের দৌড়ে অন্যতম দাবিদার ছিলেন সুশান্ত সিং রাজপুত। Chichore তে যেই মানুষটা শিখিয়েছিল sucide is not solution , কেদারনাথে যেই মানুষটা মৃত্যুর আগে পর্যন্ত লড়াই করতে শিখিয়েছিল আজ সেই মানুষটা আত্মহননের পথ বেছে নিলেন। পাড়ি দিলে না ফেরার দেশে।

Web Desk

We belong to that group who are addicted to journalism. Behind us, there is no big business organization to support us. Our pens do not flow under any other’s commands.

Related Articles