পাকিস্তানে ফের হিন্দুদের ওপর অত্যাচার, ভেঙে ফেলা হল হনুমান মন্দির সহ ২০ টি বাড়ি
স্থানীয় পুলিশের কাছে এই বিষয়ে অভিযোগ করা হলেও এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলেই জানা গেছে।
পাকিস্তানে হিন্দুদের উপর অত্যাচার আগের থেকে অনেক বেড়েছে বলে দাবি করেছিল একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। এবার সেই ঘটনার প্রমাণ ও মিলল। করাচির লিয়ারি জেলায় একটি হনুমান মন্দির বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দিল এক প্রোমোটার। এই হনুমান মন্দির স্বাধীনতার আগে তৈরী হয়েছিল। এমনকি ওই মন্দিরের আশপাশে থাকা ২০টি হিন্দু পরিবারের বাড়িও ভেঙে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় পুলিশের কাছে এই বিষয়ে অভিযোগ করা হলেও এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলেই জানা গেছে।
স্থানীয় এক বাসিন্দা মহম্মদ ইরশাদ বালোচ বলেন যে এই কাজ একদম অনুচিত হয়েছে। একটি ধর্মের প্রার্থনা করার জায়গা ভেঙে দেবার ঘটনা কোনওদিন মেনে নেওয়া যায় না। তিনি আরও বলেছেন যে ওখানে অনেক মানুষ পুজো দিতে আসতেন। আগে ওখানে দুটো মন্দির ছিল। পরে একটি ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। এখন বাকি মন্দিরটাও ধ্বংস করে দেওয়া হল। লকডাউনের সুযোগেই এই কাজ করা হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন যে প্রশাসন সব কিছু জেনেও চুপ করে রয়েছে।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর অনুযায়ী, ওই প্রোমোটার কয়েকমাস আগে মন্দিরের আশপাশের জায়গা কিনে সেখানে একটি বহুতল বানানোর পরিকল্পনা করেন। সেই সময়ে সে সবাইকে বলেছিল যে মন্দিরটি ভাঙা হবে না। ওই এলাকা থেকে হিন্দুদের উচ্ছেদ করা হবে না। কিন্তু, লকডাউনের জেরে ওই মন্দিরে কিছুদিন ধরে কেউ না যাওয়াতে সেই সুযোগ নেয় প্রোমোটার। বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ফেলে মন্দির। এছাড়া ধ্বংস করে দেওয়া হয় ২০টি হিন্দু পরিবারের বাড়ি।
এই ঘটনার পরে স্থানীয় হিন্দুরা একজোট হয়ে প্রতিবাদ দেখালে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। বর্তমানে ওই এলাকায় নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া নিরপেক্ষ তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন লিয়ারির সহকারি কমিশনার আবদুল করিম মেমন।