রাজ্যজুড়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। তবে,করোনা দমনে তৎপর রাজ্য। করোনা সংক্রমণ থেকে শহরবাসীকে বাঁচাতে নয়া পন্থা অবলম্বন করেছে সরকার। বর্তমানে প্রতি সপ্তাহে দুদিন করে সম্পূর্ণ লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। পাশাপাশি রাজ্যে বাড়ল লকডাউনের সময়সীমা। আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত রাজ্যজুড়ে চলবে লকডাউন। মঙ্গলবার নবান্ন থেকে প্রশাসনিক বৈঠকের এমনটাই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, রাজ্যে সপ্তাহে দু দিন করে যেমন সম্পূর্ণ লকডাউন হচ্ছে, সে ভাবেই চলবে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। চলতি সপ্তাহে আগামীকাল বুধবার সম্পূর্ণ লকডাউন। কিন্তু আরেকদিন কবে লকডাউন হবে তা নিয়ে শুরু হয়েছিল জটিলতা। জটিলতা কাটিয়ে পথ দেখালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবারের পর আবার রবিবার হবে সম্পূর্ণ লকডাউন।
অগস্টে প্রতি সপ্তাহে লকডাউনের তারিখও ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। অগস্ট মাসে প্রতি সপ্তাহে সম্পূর্ণ লকডাউনের যে তারিখগুলি তিনি জানিয়েছেন রইল সেই তালিকা। আগস্ট মাসের প্রথম লকডাউন ২ ও ৫ অগস্ট। এরপর
৮ ও ৯ অগস্ট। তারপর ১৬ ও ১৭ অগস্ট। ২২ ও ২৩ অগস্ট এবং ২৯ ও ৩০ অগস্ট। এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী রবিবারের পর ৫ অগস্ট বুধবার আবার সার্বিক লকডাউন হবে। তারপর ৮ ও ৯ আগস্ট পুরোপুরি লকডাউন হবে। তবে সোমবার রাখি পূর্ণিমার জন্য লকডাউন করা যাচ্ছে না । তার পরিবর্তে বুধবার ৫ অগস্ট লকডাউন হবে। রাখি পূর্ণিমার পাশাপাশি বকরি ঈদ ও স্বাধীনতা দিবসকেও লকডাউনের আওতার বাইরে রাখা হচ্ছে’।
এদিন বৈঠকে স্কুল কলেজ খোলার বিষয়েও নজর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘ অগস্ট মাসে লকডাউন প্রক্রিয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেই সেপ্টেম্বর মাসে শিক্ষক দিবসের পর থেকে পুজো পর্যন্ত নিয়ম মেনে এক দিন অন্তর স্কুল কলেজ খোলার কথা বিবেচনা করা হবে’।