কিছুদিন আগেই মিঠুন চক্রবর্তীর পরিবারের ঘনিয়ে আসে কালো মেঘ। আইনি জালে জড়িয়ে পড়ে মিঠুন চক্রবর্তীর ছেলে মহাক্ষয় ওরফে মিমো। মিমোর বিরুদ্ধে ওঠে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস, প্রতারণা, জোর করে গর্ভপাত ও ভয় দেখানোর অভিযোগ। অভিযোগ দায়ের হয় মুম্বইয়ের ওশিওয়াড়া থানায়। এতদিন মুখে কুলুপ এঁটে থাকলেও অবশেষে স্বামীর ধর্ষণ প্রসঙ্গে মুখ খুললেন মিমোর স্ত্রী।
সম্প্রতি এক তরুণী মিঠুনের ছেলে মিমোর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে যে ২০১৫ সাল থেকে মিমোর সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন তিনি। সেই সময় ওই তরুণীকে বাড়িতে ডেকে ঠান্ডা পানীয়তে মাদক মিশিয়ে অনুমতি ছাড়াই তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেছিলেন মিমো। এরকমভাবে লাগাতার ৪ বছর বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওই তরুণী সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করার অভিযোগ তোলেন নির্যাতিতা। শুধু তাই নয়, নির্যাতিতার আরও অভিযোগ এরই মধ্যে সে গর্ভবতী হয় যান। যার জেরে মিমো তাকে গর্ভপাত করতে বেশ কিছু ওষুধও খাইয়েছিলেন। এমনকি নির্যাতিতা এও অভিযোগ করেছেন যে মিমো ও তাঁর মা যোগিতাবালি ওই তরুণীকে ভয় দেখিয়েছিলেন বিষয়টি যাতে সে ধামা চাপা দেওয়ার জন্য।
যদিও এইসবের মাঝেই ২০১৮ সালে মিঠুনের ছেলে মিমো বিয়ে করেন। মাদালসা শর্মাকে কি করেন মিমো। আর এরই মাঝে এবার স্বামীর বিরুদ্ধে ওঠা ধর্ষণ নিয়ে মুখ খুললেন মাদালসা। এই প্রসঙ্গে মাদালসার প্রশ্ন ‘এটি একদমই সত্য নয়। এগুলো পুরোনো কথা। কিসের জন্য মামলা দায়ের হয়েছে? তিন বছর আগে এগুলো হয়েছে। এই বিষয় নিয়ে আলোচনা এখন বন্ধ’।
বলে রাখি,২০১৮ সালে মিমো যখন বিয়ে করেছিলেন সেই সময় চুপ করে থাকেননি অভিযোগকারী তরুণী। ধর্ষণের মামলা রুজু করার চেষ্টা করলেও পুলিশ তাঁর অভিযোগ নিতে সাফ মানা করে দেয় বলে অভিযোগ। যদিও তাতে দমে যাননি ওই নির্যাতিতা। এরপর দিল্লির রোহিণী আদালতে একটি মামলা রুজু করেন তিনি। এফআইআর দায়েরের আবেদন জানান নির্যাতিতা তরুণী। আর তারপরেই প্রাথমিক প্রমাণাদির ভিত্তিতে আদালত এফআইআর করার নির্দেশ দিয়েছে৷ আর এরপরেই ১৫ অক্টোবর মুম্বইয়ের ওশিওয়াড়া থানায় মিঠুন পুত্র মিমোর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে ওই তরুণী৷